বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
৩০ ডিসেম্বরের জালিয়াতির নির্বাচন সরকারি দলের জন্য গৌরব ও মর্যাদার নয়, বরং কলঙ্ক ও লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, আওয়ামী লীগের মত একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল ও তাদের নেতৃত্বাধীন সরকারকে মানুষের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যে তামাশার নির্বাচন করা হল তা একদিকে নির্বাচনী ব্যবস্থার ন্যূনতম বিশ্বাসযোগ্যতাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। কেননা এ নির্বাচনে নজিরবিহীন জালিয়াতি, কেন্দ্র দখল, প্রকাশ্যে সিল মারতে বাধ্য করা, বিরোধী দলীয় প্রার্থীদেরকে লাঞ্ছিত ও তাদের নির্বাচনী এজেন্টদেরকে বের করে দেয়া হয়।
গতকাল বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সভায় ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন পর্যালোচনা করে এসব কথা বলা হয়। সেগুনবাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সভায় অনুষ্ঠিত হয়। পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপেিতত্ব অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেত্রী বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, ডা. খন্দকার মোসলেউদ্দীন, মাহমুদ হোসেন প্রমুখ।
সভায় বলা হয়- সারাদেশকে কার্যত: অচল করে দিয়ে দেশের মানুষের এক বিরাট অংশের ভোটাধিকার হরণ করা, পুলিশসহ রাষ্ট্রীয় বাহিনীসমূহের নিয়ন্ত্রণে ও সরকারদলীয়দের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্বে সরকারি দল ও জোটকে যেভাবে বিজয়ী দেখানো হয়েছে তা সরকারি দলের জন্য রাজনৈতিক ও নৈতিক পরাজয়। আর অন্যদিকে এই জালিয়াতি দেশের ন্যূনতম ও গণতান্ত্রিক কাঠামোকেও বিধ্বস্ত করে দিয়েছে। সভার প্রস্তাবে বলা হয়, সরকারি দলের পক্ষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করার জন্য পুলিশসহ রাষ্ট্রীয় সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানসমূহকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে তাও রীতিমত নজিরবিহীন। রাষ্ট্রীয় সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানসমূহের দলীয়করণ গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থাকেই মারাত্মক বিপদাপন্ন করে তুলেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণে রেখে যেভাবে সরকার ও সরকারি দলের পক্ষে একতরফা প্রচারে বাধ্য করা হচ্ছে তাতে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যাদি চাপা পড়ে যাচ্ছে। তারা অবিলম্বে নির্বাচন ও নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করে নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে পুনঃনির্বাচনের ঘোষণার দাবি জানান। সরকারি দলের এই নিরঙ্কুশ বিজয় দেশে নিরঙ্কুশ একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রের বিপদ আরো বাড়িয়ে দেবে। এর পাশাপাশি ভোটাধিকার হরণ ও ব্যর্থ নির্বাচনের দায়-দায়িত্ব নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করা হয় সভায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।