পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানী মালিবাগে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় দুই নারী পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- নাহিদা পারভিন পলি (২০) ও মিম আক্তার (১৪)। গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে মালিবাগের আবুল হোটেলের সামনে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় তাদের দু’জনের মৃত্যু ঘটে। ঘটনার পর ঘাতক চালকসহ বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে সহকর্মীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের বিভিন্ন গার্মেন্টের বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় তারা প্রায় অর্ধশত গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। শ্রমিকদের অবরোধ ও বিক্ষোভে আশপাশের সব সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আশপাশের সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
হাসপাতাল ও সহকর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, নিহত পলি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার এজাজ আহমেদের মেয়ে আর মিম বগুড়ার গাবতলি উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের সোনাই মোল্লার মেয়ে। তারা দু’জনে রামপুরার আল রাফি ফ্যাশন নামের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন এবং মগবাজার পুর্ব নয়াটোলা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। সুমি নামে তাদের এক সহকর্মী বলেন, পারভীন ও মীম দুপুরের খাবার খেতে কারখানা থেকে বাসায় যাচ্ছিলেন। রাস্তা পার হওয়ার সময় বাস তাদেরকে চাপা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দুপুরে মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় সদরঘাট থেকে গাজীপুরগামী সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস তাঁদের দু’জনকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মিম মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় পলিকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দুই শ্রমিকের নিহতের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের বিভিন্ন গার্মেন্টস থেকে শত শত পোশাক শ্রমিক রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় তারা মালিবাগ ও চৌধুরীপাড়া এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক বাসে ভাঙচুর চালায়। এছাড়া আবুল হোটেলের সামনে একটি বাসসহ আরও কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নেভানো হয়। স্থানীয়রা বলেন, শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে মালিবাগসহ আশপাশের সব সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিকেলের দিকে ভাংচুর হওয়া গাড়িগুলো সরিয়ে নিতে শুরু করে। হাতিরঝিল থানার ওসি আবু ফজলুল করিম বলেন, ঘটনার পর চালকসহ বাসটি আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে তেজগাঁও জোনের পুলিশের উপকমিশার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, সন্ধ্যায় দোষীদের বিচারের আশ্বাস দিয়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে শ্রমিকদের সড়ক থেকে চলে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। পরে ৭টার দিকে শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে চলে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে (রাত ৮টা) পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।