Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

থানায় বসে মীমাংসা হলো পুঠিয়া আ.লীগের দুই পক্ষের বিরোধ

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

রাজশাহীর পুঠিয়ায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যেকার বিরোধ গতকাল থানায় বসে সিনিয়র নেতা ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে। মেয়রের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, রোববার রাতে যুবলীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র রবিউল ইসলামের বাড়িতে ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জের পাশাপাশি কয়েক রাউণ্ড সাউন্ড বুলেট ছোড়ে।
এ ঘটনায় পৌর মেয়র, আওয়ামী লীগ নেতা ও ছাত্রলীগ নেতাসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং বাকিরা বিচ্ছিন্ন ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরের দিন থানার ভেতরে এমন ঘটনা ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তৎক্ষনাত থানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ।
আহতরা হলেন, পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সান্টু, ভালুকগাছি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মুনজুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা আবুল কালাম, আওয়ামী লীগ কর্মী মিন্টু এদের মধ্যে মেয়র রবি বাদে সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি জানান, ভোটের দিন রোববার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে একটি কালো মাইক্রোবাসে কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে তার বাড়ি লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটনায়। রাতেই বিষয়টি থানা পুলিশ কে জানালে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যায়। পরে সকালে ঘটনার জড়িত সন্দেহে আতিয়ার ও লিমনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে থানা থেকে ফোন করলে তিনি অভিযোগ করতে থানায় গেলে আওয়ামী লীগের অপর একটি গ্রুপ আটককৃতদের পক্ষ নিয়ে তাকে থানার ভেতরেই লাঞ্চিত করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়র ও তার লোকজন থানায় অভিযোগ করতে গেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার রহিম কনক ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বপনসহ কয়েকজন আটককৃতদের পক্ষ নিয়ে থানায় যায়। মেয়র রবিকে লাঞ্চিত করেন পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বপন। মাসুদ, কনক ও স্বপন এরা সবাই সদ্য নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডা: মনসুর রহমানের সমর্থক এবং মেয়র রবি সদ্য সাবেক সাংসদ আবদুল ওয়াদুদ দারার সমর্থক।
এ ব্যপারে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র রবিউল ইসলাম রবি বিষয়টি মিমাংসার কথা স্বীকার করে বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের ব্যপারে অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওসি জানান, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে থানায় বসে উভয় পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আ.লীগের দুই পক্ষের বিরোধ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ