Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কুমিল্লার নির্বাচনোত্তর আ.লীগের ব্যাপক সহিংসতা ভাংচুর-লুটপাট, আহত ৬

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. মোশাররফের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

চান্দিনা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০১৯, ৮:৪৬ পিএম

কুমিল্লা-১ আসনের দাউদকান্দি পৌর সদরসহ বিভিন্ন গ্রাম, দাউদকান্দি উপজেলার দাউদকান্দি (উত্তর), গোয়ালমারী, সুন্দলপুর, দৌলতপুর ও ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও বাজারে বিএনপি নেতা কর্মী ও সমর্থদের বাড়ী ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনোত্তর ব্যাপক সন্ত্রাসী হামলা, লুটপাট, মারধর, চাঁদাবাজি ও প্রকাশ্যে হুমকি প্রদর্শনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য এবং কুমিল্লা-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল মঙলবার রাতে গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি নির্বাচনোত্তর আওয়ামী লীগের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অবিলম্বে বন্ধ এবং প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দাবি জানিয়েছেন। 

ড. মোশাররফ বিবৃতিতে বলেন, ৩০ ডিসেম্বর রাত থেকে এই পর্যন্ত আওয়ামী লীগ, যুব লীগ ও ছাত্র লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা দাউদকান্দি পৌর এলাকার তুজারভাঙ্গা গ্রামে কাউন্সিলর মোস্তাক মিয়া এবং পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাওসার আলমের বাসভবনসহ মাইজপাড়া, দোনারচর, উত্তর নছরুদ্দি গ্রামে বাবুলের বাড়ীতে গ্রামে ব্যাপক ভাংগচুর ও লুটপাট করে। তারা দাউদকান্দি বাজারে পৌর বিএনপি সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিয়াজি ও শামীমের দোকান বন্ধ করে দেয়। পৌর এলাকার ইট ব্যবসায়ী মনু মিয়া ব্যাপারীর ইটের ভাটা থেকে দুই ট্রাক ইট লুট করে নিয়ে যায়। সুন্দলপুর ইউনিয়নের বড় গোয়ালী বাজারে ৩টি দোকান ও চকমখোলা গ্রামে ব্যাপক ভাংচুর চালায় এবং ২ জনকে আহত করে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়নের বাসরা গ্রামে প্রায় ২৫টি বাড়ীতে হামলা করে, এতে ৪ জন জখম হয়। সশস্ত্র ক্যাডাররা ইলিয়টগঞ্জ বাজারে ৫ টি দোকান বন্ধ করে দেয়। ক্যাডাররা দৌলতেরকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম এবং গোয়ালমারী ইউনিয়নের দৌলতেরকান্দি গ্রামের ৩০/৩৫টি বাড়ী দুই দিন ধরে নারকীয় তান্ডব চালাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরও সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে। যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। তিনি অবিলম্বে নির্বাচন উত্তর এইসব সহিংস ঘটনা বন্ধ করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জরুরী হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ