Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে এমপি রানার বাবা আতাউর রহমান খান বিপুল ভোটে বিজয়ী

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০১৯, ৩:৫৩ পিএম

টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানার বাবা আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট প্রার্থী আতাউর রহমান খান (নৌকা) প্রতিকে ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৩২ ভোট পেয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী লুৎফর রহমান খান আজাদ ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ১২২ ভোট। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী লুৎফর রহমান খান আজাদসহ বাকী ৬ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত (বাতিল) করে প্রায় ৮০ বছরের এই সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আতাউর রহমান খান বিজয়ী হয়েছে। এই নির্বাচনে জয়ী হওয়াও ছিল আতাউর রহমান খান ও তার পরিবারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অর্ধডজন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এ আসনের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা চাঞ্চল্যকর ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় গত কয়েক বছর ধরে জেল হাজতে রয়েছেন। এমপি রানার কর্মকান্ড নিয়ে ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে এমপি বিরোধী একটি গ্রুপ তৈরী হয়। এতে করে উপজেলা আওয়ামী লীগ এমপি রানা বিরোধী ও রানা সমর্থিত দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে প্রায় অর্ধডজন প্রার্থী দলীয় মনোনয়নের জন্য লবিং করতে থাকেন। পরে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আমানুর রহমান খান রানার বাবা আতাউর রহমান খানকে ঘাটাইল আসনে মনোনয়ন দেন। আতাউর রহমান খান এ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার পর দ্বিধাবিভক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সকল বিভক্তি ভুলে গিয়ে ভোট যুদ্ধে মাঠে নামেন। উদ্দেশ্য একটাই নৌকাকে জয়ী করতে হবে। ভিতরে ভিতরে রানা বিরোধী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে আতংক থাকলেও নৌকার জন্য একট্টা হয়ে কাজ করতে থাকে। সকল নেতাকর্মীরা একট্টা হয়ে কাজ করায় ৩০ ডিসেম্বর নৌকার বিশাল বিজয় কেতন উড়তে থাকে।
আতাউর রহমান খানে বড় ছেলে আমিনুর রহমান খান বাপ্পি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন। আমানুর রহমান খান রানা ঘাটাইল উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বিশাল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। এবং পরে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আতাউর রহমান খান জানান, আমার ছেলে আমানুর রহমান খান রানার বিশাল জনসমর্থন ও আমার সততা এবং সর্বপরি আমার দলীয় নেতাকর্মীরা সকল প্রকার দলাদলী ভুলে গিয়ে নিরলসভাবে ভোটের মাঠে কাজ করায় আমি বিশাল ভোটের ব্যাবধানে জয়ী হয়েছি। এজয় আমার নেতাকর্মী ও ছেলেদের জয়। এবং কোন প্রকার গ্রুপিং থাকবেও না। এমপি রানা বিরোধী আওয়ামী লীগ শিবিরে আতংক বিরাজ করছে এমন প্রশ্নের জবাবে আতাউর রহমান খান বলেন, আমি ছেলের পরির্বতে এ আসনে হাল ধরায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সকল প্রকার গ্রুপিং মিটে গেছে। আমি এই বয়সে আর নেতাকর্মীদের মাঝে কোন প্রকার কোন্দল দেখতে চাই না। আমার কাছে আমার দলীয় নেতাকর্মীরা সকলেই সমান।
ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম লেবু বলেন, দলের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত। প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আতাউর রহমান খানকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন এবং দলীয় প্রার্থীর পক্ষে আমাদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা দলের জন্য সকল কোন্দল ভুলে গিয়ে কাজ করে নৌকার বিজয় ছিনিয়ে এনেছি। আতাউর রহমান খান একজন মুরুব্বি মানুষ আমরা উনার মাধ্যমে দলের সকল নেতাকর্মীরা নিরাপদে থাকতে চাই। উনি (আতাউর রহমান খান) আমাদের ঘাটাইলকে সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত আধুনিক ঘাটাইল হিসেবে গড়ে তুলবেন এটাই ঘাটাইলবাসী আশা করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ