Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

মৌলভীবাজার-৩ আসনের ফলাফল প্রত্যাখান করলেন নাসের রহমান

মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৮:৩৬ পিএম

মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর) আসনে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের পুত্র এম নাসের রহমান ভোট ডাকাতির নির্বাচন প্রত্যাখান করে বানোয়াট ফলাফল বাতিলের দাবি জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
সোমবার ৩১ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাহারমর্দানস্থ নিজ বাসভবনে আয়োজিত প্রেস বিফ্রিং করে তিনি এ দাবি জানান।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন এটি ইতিহাসের একটি জঘন্যতম নির্বাচন এটি। পৃথিবীর আর কোন স্বৈরাচার কর্তৃক এ ধরনের নির্বাচনের কথা কেউ শুনেনি বা দেখওনি। নির্বাচনের ইতিহাসে এই প্রথমবার পুলিশের মাধ্যমে সরাসরি কেন্দ্র দখল ও জাল ভোট প্রদানের অকল্পণীয় ও অবিশ্বাস্য কান্ড ঘটেছে যা নির্বাচনী সুষ্টু পরিবেশকে কুলষিত করেছে। পুলিশ ও প্রার্থী একসাথে জাল ভোট দিয়েছেন। এই নির্বাচনে ভোট চুরি ছিনতাইয়ের নতুন নতুন বৈশিষ্ট আর প্রহসন জনগণ প্রত্যক্ষ করল। তিনি অভিযোগ করেন এই নির্বাচনী আসনে ১৬৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০০টি কেন্দ্রে ভোট চুরি নয় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন ভোটের দিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন ভোট চুরি ও ডাকাতিতে নেমে পড়ে। এতে তারা জনগনের প্রতিরোধের মুখে পড়ে পেরে উঠতে না পেরে এক পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ব্যালট পেপারে সীল মারা থেকে শুরু করে বাহির থেকে সীল মেরে আনা নৌকার ব্যালট কেন্দ্রের বাক্স ভরতে থাকে। বেলা ১১টা পর্যন্ত মাঠের ভোটের আনুপাতিক হিসেবে নৌকা প্রতীক ৬০-৬৫ হাজার ভোটের বেশী ভোট পাওয়ার কথা না এবং যেখানে ধানের শীষ প্রতীক ২ লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হওয়ার কথা সেখানে আওয়ামীলীগ, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব একজোট হয়ে আমার নির্বাচনী ফলাফল পাল্টে দিয়েছে। পুলিশ বিজিবির সদস্যরা দুই উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে জাল ভোট দিয়েছে। গণনার আগে পুলিশ কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স নিয়ে এসেছে। অনেক কেন্দ্রে জাল ভোট গণনার ব্যালট সীটে আমার পোলিং এজেন্টদের স্বাক্ষর নেয়া হয়নি। নির্বাচন সুষ্ট হলে তিনি ১ লক্ষ ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হতেন বলে দাবী করেন নাসের রহমান। কিন্তু ভোটের নামে এই প্রহসনের নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি এই বানোয়াট নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখান করে তা বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।এম নাসের রহমান অভিযোগ করেন, রাজনগর ও মৌলভীবাজারে নির্বাচনের আগের দিন থেকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা জেলা বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, সৈয়দ ফয়সল আহমদ, মশিদুল হোসেন, আব্দুস সহিদ মেম্বার, ফখরুল ইসলামসহ শতাধিক নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায়।
এছাড়া নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশের হয়রানী অব্যাহত রয়েছে। সে কারণে নেতা কর্মীরা চরম আতংকে রয়েছেন। তিনি বলেন এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের এমন নিলজ্জ্ব দৃশ্য দেখে জনগণ ভোট গণতন্ত্র ও রাজনীতির প্রতি আস্থা রাখবেনা। দেশের সুষ্ট রাজনৈতিক পরিবেশ ও গণতন্ত্র নিয়ে তিনি সন্দিহান বলেও জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ভিপি মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ মুকিত, আশিক মোশারফ, জেলা বিএনপি সিনিয়র নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বকসি মিছবাহ উর রহমান, সদর থানা বিএনপির সভাপতি হেলু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. মামুনুর রশিদ, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার আহমদ রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য বদরুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা পিপলু আব্দুল হাই ও সৈয়দ ফয়ছল আহমদ প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ