মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইন্দোনেশিয়ার অবকাশযাপন এলাকা বালি দ্বীপের মাউন্ট আগুং আগ্নেয়গিরি আবারো অগ্ন্যুৎপাত শুরু করেছে। রোববার সকাল থেকে এ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে বলে আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে আগ্নেয়গিরিটির জ্বালামুখ দিয়ে কী পরিমাণ ছাই নির্গত হচ্ছে তা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। তবে আগ্নেয়গিরিটির উদগিরণের ফলে আশেপাশের এলাকায় ছাই পড়েছে। ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘স্থানীয় সময় ভোর ৪ টা ৯ মিনিটে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে কতটুকু ছাই নির্গত হচ্ছে তা নির্ণয় করা যায়নি। সিসমোগ্রাফে নির্গতের মাত্রা সর্বোচ্চ ২২ মিলিমিটার এবং সময় তিন মিনিট আট সেকেন্ড রেকর্ড করা হয়েছে। দ্য ভলকানোলজি অ্যান্ড জিওলজিক্যাল ডিসাস্টার মিটিগেশন সেন্টার (পিভিএমবিজি) জানিয়েছে, মাউন্ট আগুংয়ে এখন তিন নম্বর সতর্কতা চলছে। চার মাত্রার সতর্কতার মধ্যে এটি সর্বোচ্চ দ্বিতীয় ম মাত্রার সতর্কতা। আগ্নেয়গিরির সর্বোচ্চ চূড়া থেকে চারপাশের ৪ কিলোমিটার এলাকাকে বিপজ্জনক এলাকা হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, সম্প্রতি সক্রিয় হয়ে ওঠা আনাক কারাকাতাউ আগ্নেয়গিরিটির আকার আগের চেয়ে দুই-তৃতীয়াংশই কমে গেছে। সক্রিয় হওয়ার আগে ৩৩৮ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট আগ্নেয়গিরিটির এখনকার উচ্চতা মাত্র ১১০ মিটার। ইন্দোনেশিয়ার অগ্ন্যুৎপাত ও ভূতাত্তি¡ক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের উদ্ধৃত করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা খবরটি জানিয়েছে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, গত সপ্তাহে সমুদ্রে আগ্নেয়গিরিটির ভেঙে পড়ার মাত্রা কী ছিল তা নির্ধারণ করে সাম্প্রতিক সুনামির শক্তি চিহ্নিত করা যাবে। গত ২২ ডিসেম্বর কোনও পূর্বাভাস ছাড়াই ইন্দোনেশিয়ার উপকূলীয় শহর সুমাত্রা ও জাভায় ভয়াবহ সুনামি আঘাত হানে। নতুন করে সক্রিয় হয়ে ওঠা আনাক কারাকাতাউ আগ্নেয়গিরির একটি অংশ সাগরে ভেঙে পড়ার পর বিশাল বিশাল ঢেউ উপকূলে আছড়ে পড়ে। ভয়াবহ ওই সুনামির কারণে প্রাণ হারায় ৪২৬ জন। ঘরহারা হয় ৪০ হাজার মানুষ। ইন্দোনেশিয়ার অগ্ন্যুৎপাত ও ভূতাত্তি¡ক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা বলছেন, হঠাৎ করে সক্রিয় হয়ে ওঠা কারাকাতাউ আগ্নেয়গিরিটির আকার এখন আগের চেয়ে ছোট হয়ে পড়েছে। আগের আকারের তুলনায় এটির এখনকার আকার মাত্র এক চতুর্থাংশ। এর ভরও কমে গেছে। গত কয়দিনে এর ভর ১৫০-১৮০ মিলিয়ন ঘন মিটার কমে ৪০-৭০ মিলিয়ন ঘন মিটারে নেমেছে। সক্রিয় হওয়া আনাক কারাকাতাউ আগ্নেয়গিরিটি কী অবস্থায় আছে তা নির্ধারণ করতে হলে বিশেষজ্ঞদেরকে ব্যাপকভাবে স্যাটেলাইট রাডার ইমেজের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। মেঘের উপস্থিতি, একটানা অগ্ন্যুৎপাত ও সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধিজনিত কারণে পরিদর্শনের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।