Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডেমোক্র্যাটরা দায়ী শিশু মৃত্যুর জন্য : ট্রাম্প

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

মেক্সিকো সীমান্তে মার্কিন হেফাজতে থাকা অবস্থায় শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, ডেমোক্র্যাটরা অভিবাসন প্রত্যাশীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ শিথিল রাখার নীতি অবলম্বন করায় তারাই অবৈধভাবে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মিত হলে অভিবাসন প্রত্যাশীরা এ চেষ্টা চালাবে না বলে দাবি করেন তিনি। বিগত কয়েক মাসে অভিবাসনের প্রত্যাশায় গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস ও এল সালভাদর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে ভিড় জমিয়েছে লাখো মানুষ। নিজ দেশে নিপীড়ন, দারিদ্র্য ও সহিংসতা থেকে বাঁচতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করছে তারা। তবে অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের গ্রেফতার, বিচার ও বিতাড়নের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির প্রবর্তক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মামলা নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত প্রত্যেককে সীমান্তে আটক রাখার ব্যাপারে অনড় ট্রাম্প। আটক অভিভাবকদের সঙ্গে শিশুদেরকেও মার্কিন সরকারের আটককেন্দ্রে হেফাজতে রাখা হচ্ছে। হেফাজতে থাকা অবস্থায় এ মাসে দুই গুয়াতেমালান শিশুর মৃত্যু হয়। এসব ঘটনায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো ট্রাম্পের অমানবিক অভিবাসন নীতিকে দায়ী করছে। তাছাড়া মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় পাস হয়নি বাজেটও। আংশিক অচলাবস্থায় আছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার শিশু মৃত্যুর জন্য উল্টো ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করেছেন ট্রাম্প। শনিবার দুপুরে টুইটার বার্তায় ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ডেমোক্র্যাট এবং তাদের হতাশাপূর্ণ অভিবাসন নীতিমালাই সীমান্তে শিশু কিংবা অন্য যে কারও মৃত্যুর জন্য দায়ী। এ নীতিমালার কারণেই অভিবাসন প্রত্যাশীরা ভাবছে তারা অবৈধভাবে আমাদের দেশে প্রবেশ করতে পারবে। কিন্তু তারা তা করতে পারে না। আমরা যদি সীমান্ত দেয়াল নির্মাণ করি তবে তারা প্রবেশের চেষ্টাও করবে না।!’ টুইটার বার্তায় ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ডেমোক্র্যাটরা যেন হোয়াইট হাউসে আসে এবং একটি সীমান্ত চুক্তিতে রাজি হয় তার জন্য অপেক্ষা করছি আমি।’ উল্লেখ্য, গরিব-শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের কাছে টানতে উগ্র ডানপন্থী জনতোষণবাদী অবস্থান নিয়ে ভোট জিতেছিলেন ট্রাম্প।কৃষ্ণাঙ্গ ও অভিবাসীদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়িয়েছিলেন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি গ্রহণের মধ্য দিয়ে। মেক্সিকো সীমান্তে বিভেদের দেওয়াল তুলে শ্বেতাঙ্গদের সামনে হাজির করেছিলেন আমেরিকান ড্রিম। সম্প্রতি সেই বিভেদের দেয়ালকে কেন্দ্র করে সরকারি কার্যক্রমকে অচলাবস্থায় ঠেলে দিতেও পিছপা হননি তিনি। নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে মেক্সিকো সীমান্তেও অমানবিক অভিবাসন নীতি বাস্তবায়ন করছেন তিনি। তার ঘৃণ্য নীতি ছাড়ছে না শিশুদেরও। সিএনএন, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ