Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভুয়া ভোটের ভুয়া নির্বাচন, অভিযোগ সিপিবির

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৫:১৪ পিএম
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘ভুয়া ভোটের ভুয়া নির্বাচন’ বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। রোববার দুপুরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া-সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করা হয়।
বিবৃতিতে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘ভুয়া বিজয় নিশ্চিত করার জন্য নানা ধরনের প্রহসন ও কারচুপির বলয় আগেই তৈরি করেছিল শাসক দল। এর মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ন্যূনতম ভিত্তিকে বলি দেয়ার ব্যবস্থা তারা আগেই করে রেখেছিল।’
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনের নামে যা হচ্ছে তা সম্পূর্ণভাবে একটি ‘ভুয়া নির্বাচন’। যাদের এভাবে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করার আয়োজন করা হয়েছে তারা নিজেদের কোনোমতেই জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি বলে দাবি করতে পারবে না। জনগণ তাদেরকে ‘ভুয়া প্রতিনিধি’ বলেই বিবেচনা করবে। ‘ভুয়া প্রতিনিধি’দের নিয়ে গঠিত সংসদও ‘জনপ্রতিনিধিদের সংসদে’র মর্যাদা দাবি করতে পারবে না। সেটিকে জনগণ ‘ভুয়া সংসদ’ হিসেবেই গণ্য করবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শুরু থেকেই সরকার প্রতিপক্ষের প্রার্থী ও কর্মীদের ওপর সন্ত্রাস চালিয়ে, প্রতিপক্ষের প্রচারণায় হামলা চালিয়ে এবং জনগণের মধ্যে নানা গুজব ছড়িয়ে সর্বত্র এক শ্বাসরুদ্ধকর ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে কার্যত একটি একতরফা নির্বাচনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে এ উদ্দেশে পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ‘ভুয়া বিজয়’ নিশ্চিত করার জন্য নানা ধরনের প্রহসন ও কারচুপির বলয় তৈরি করেছিল। ভোট শুরুর ১ ঘণ্টার মধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া সুনির্দিষ্ট খবরাখবর থেকে জানা গেছে, এ পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে অধিকাংশ কেন্দ্রে আগের রাতেই ব্যালট সিল মেরে রাখা হয়েছিল। নির্বাচন শুরু হওয়ার পরও, নামমাত্র ভোটারের উপস্থিতির সুযোগ নিয়ে প্রতিপক্ষের এজেন্টদের জোর করে বের করে দিয়ে এবং আগ্রহী ভোটারদের হুমকি দিয়ে বিতাড়িত করে, প্রকাশ্যে সিল মেরে ‘ভুয়া ভোট’ বাক্সে ঢোকানো হচ্ছে বলে চতুর্দিক থেকে তথ্য আসছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সিপিবি ও বাম জোটের প্রার্থীদের সব এলাকায় অবাধ চলাচলের সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, হামলা করা হয়েছে। প্রায় সব এলাকায় এজেন্টদের বের দেয়া হয়েছে। সমর্থক দেখলে ভোটদানে বাধা দেয়া হয়েছে। এ ধরনের শতাধিক অভিযোগ ইতোমধ্যে স্থানীয়ভাবে সংশ্লিষ্টদের কাছে ও নির্বাচন কমিশনে দেয়া হয়েছে। ভোটারদের ওপর পুলিশ ও সরকারি দলের হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এমনকি হামলা থেকে অন্যান্য বিরোধী প্রার্থী, প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্টও রেহাই পাননি।


 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ