Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুলনাঞ্চলের ১৪টি আসনের ১২ প্রার্থীর ভোট র্বজন

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৪:৫৩ পিএম

বৃহত্তর খুলনার ১৪টি আসনের ১১টি আসনের বিএনপি প্রার্থী ও একটিতে জাপা’র প্রার্থী ভোট বর্জন করে। খুলনায় ধানের শীষের ৫ ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের এক প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। এছাড়া ঐক্যফ্রন্টের সাতক্ষীরায় ২ প্রার্থী এবং বাগেরহাটের ৪ প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। 

রোববার সকাল থেকে একে একে ৬ প্রার্থী ভোট বর্জন করেন খুলনা-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী আমীর এজাজ খান, একই আসনের মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী সুনিল শুভ রায়, খুলনা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা-৫ ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জামায়াত নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
এছাড়া অনিয়ম, জাল ভোট, ভোটকেন্দ্র দখল ও ভোটারদের ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ এনে সাতক্ষীরা-২ ও ৪ আসনের ধানের শীষের প্রার্থীরা ভোট বর্জন করে।
রোববার বেলা ১২টার দিকে কারাগারে থাকা সাতক্ষীরা ৪ এর জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলামের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আব্দুল জলিল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। রাতেই জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। এখন ভোটকেন্দ্র দখল করে সেখানে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এজন্য আমরা ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বাগেরহাট-১, ২, ৩ ও ৪ আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন। গতকাল রোববার দুপুরে প্রহসনের নির্বাচন, ভোটকেন্দ্রে এজেন্টদের ঢুকতে না দেওয়া ও এজেন্টদের সামনেই ব্যালট পেপারে সিল মারার অভিযোগ এনে তারা ভোট বর্জন করেন। দুপুর ১২টার দিকে প্রার্থীরা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া এবং পুলিশের বিরুদ্ধের ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন তারা।
মিয়া গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করে বলেন, ভোট গ্রহণের এক ঘণ্টার ভেতরে খুলনা- ৫ আসনের সব ভোটকেন্দ্রের কক্ষের দরজা বন্ধ করে নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দেওয়া হচ্ছে। ভোট গ্রহণের পর থেকে শত শত ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে ডুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বেশ কিছু নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। যারা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের কেন্দ্রে ডুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে সেনাবাহিনী, রিটানিং কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়েছে তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। যে কারণে এ প্রহসনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।
সুনিল শুভ রায় অভিযোগ করে বলেন, বটিয়াঘাটার ১০৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৭টি কেন্দ্রই নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা দখল করে নিয়ে জাল ভোট দিচ্ছেন। শুধু মাত্র আমার কেন্দ্রেটি দখল করেনি। এরকম কলঙ্কিত ভোট আমি কোনো দিন দেখিনি। সকাল থেকেই আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। যারা ভোট দিতে যাচ্ছেন তাদের ব্যালট পেপার টেবিলের উপর রেখে সিল দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এখানে কোনো সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে না। তাই আমি সকাল সাড়ে দশটা থেকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি।
খুলনা-৬ আসনের ধানের শীষের আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী এজেন্ট অ্যাডভোকেট শাহ আলম নির্বাচন বর্জনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রকিবুল ইসলাম বকুল অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ ও সরকারি কর্মী-সমর্থকেরা তাকে নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। তাই তিনি এ প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করছেন।
আমীর এজাজ খান অভিযোগ করে বলেন, জাল ভোটের এ নির্বাচন আমি বর্জন করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ