Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ময়মনসিংহে ৬ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের ভোট বর্জন

বিশেষ সংবাদদাতা, ময়মনসিংহ ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৪:০৫ পিএম

ভোটকেন্দ্রে এজেন্টদের ঢুকতে না দেওয়া, মারপিট করা, ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নিজেরাই সিলমারাসহ নানা অভিযোগে ময়মনসিংহের ৬ টি সংসদীয় আসনে বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন।
রোববার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ময়মনসিংহের একটি প্রেসক্লাবে একত্রে সংবাদ সম্মেলন করে ঐক্যফ্রন্টের চার প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। তাঁরা হলেন- ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসাইন, ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনের প্রার্থী জাকির হোসেন বাবলু, ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার শামছ উদ্দিন আহমেদ ও ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনের প্রার্থী ফখর উদ্দিন বাচ্চু।
এছাড়া ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনের দলটির প্রার্থী এ.এইচ.এম.খালেকুজ্জামান ও ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনের প্রার্থী খুররম খান চৌধুরী নির্বাচন বর্জন করার কথা জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসাইন বলেন, আমার ৩০ টি ভোটকেন্দ্রে রাতেই সিল মেরে ব্যালট পূর্ণ করা হয়েছে। সকাল ১১ টার দিকে প্রায় সবগুলো কেন্দ্র পুলিশের সহযোগিতায় দখলে নিয়ে এজেন্টদের বের করে দিয়ে সিল মারে। সাকিব মুন্সী নামে আমার এক এজেন্টকে আটক করা হয়েছে। এই নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনের প্রার্থী এ.এইচ.এম.খালেকুজ্জামান স্থানীয় সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ৮৮ টি ভোটকেন্দ্র দখল করে নেয়। এই সময় বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের হামলা ও মারপিট করা হয়। এটি পরিকল্পিত নির্বাচন এই নির্বাচন আমরা মানি না।
ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনের প্রার্থী জাকির হোসেন বাবলু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মুক্তাগাছায় ৩৫ টি ভোটকেন্দ্রে এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসাররা। সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে জানানোর পরেও কোন প্রতিকার পায়নি। অনেক ভোটকেন্দ্রে এজেন্টকে মারপিট করে বের করে দেওয়া হয়েছে। বার বার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পুলিশ র‌্যাবের কোন প্রতিকার মেলেনি। এজন্যই আমরা সকাল ১১ টার দিকেই নির্বাচন বর্জন করেছি।
ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনের প্রার্থী ফখর উদ্দিন বাচ্চু বলেন, ভালুকার বিভিন্ন কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্টরা প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে প্রযোজনীয় ব্যালট পেপার দেখানোর কথা বললে তাঁরা সেটি দেখাতে ব্যর্থ হয়। এই সময় নৌকা প্রতীকের এজেন্টগণ ধানের শীষের কর্মীদের মারধর করে বের করে দেয়।
পরবর্তীতে সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে গেলে তাদেরকে দা-লাঠি দিয়ে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়। নৌকা প্রতীকের কর্মীরা ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নিজেরাই সিল মারে।
ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার শামছ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গতকাল রাত ১১ টা থেকেই আওয়ামী লীগের লোকজন কেন্দ্র দখলে নিয়ে সিল মারা শুরু করে। কোন কেন্দ্রে ব্যালট দেখাতে বললে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তাকে ব্যালট দেখাতে ব্যর্থ হয়। আমার কর্মীদের মারপিট করে এজেন্টদের বের করে দেওয়ায় বর্জন করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ