মহেশখালী-কুতুবিয়া আসনের (জামায়াতে) আপেল প্রতীকের প্রার্থী হামিদুর রহমান আযাদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট জাকের হোসাইন নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দেন।
দুপুরে তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ভোর সকাল থেকে জনগণ যা দেখল তাতে মনে হয় এদেশে আইন, আইনের শাসন, মানব অধিকার বলতে কোন কিছু আর অবশিষ্ট রইল না।
ভোটের দিন রাত্রে অধিকাংশ কেন্দ্রে ৪০-৬০ শতাংশ নৌকা প্রতীকের ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে। আপেল প্রতিকের এজেন্ট
বের করে দেওয়া হয়। কোন কোন কেন্দ্রে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চেয়ে প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ ও পুলিশের যৌথ বাহিনী গঠন করে নৌকা প্রতিকে সীল মারে।
আপেল প্রতিকের কর্মী সমর্থকদের মারধর ও গ্রেফতার করা, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সাধারণ ভোটার ও মহিলা ভোটার দের বিতাড়িত ও নাজেহাল করা
হয়।
নৌকার সমর্থক পুলিং, প্রিসাইডিং দ্বারা নৌকা মার্কার ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা, আপেল মার্কার সমর্থক ও এজেন্ডদের গ্রেফতার করা হয়। বিভিন্ন কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত ভিজিলেন্স টিমকে বারবার অভহিত করার পরও কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
পুলিশ এবং নৌকা মার্কার সমর্থকদের সাথে একই গাড়িতে অবস্থান করে প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ত্রাস সৃষ্টি করা হয়। গভীর রাতে প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে দুই তৃতীয়ংশ ব্যালটে সীল মেরে নৌকার বিজয় নিশ্চত করা হয়েছে।
কুতুবদিয়া থানার ওসি দিদারুল ফেরদৌস এবং মহেশখালী থানার ওসি প্রবাশ ধরের প্রত্যেক্ষ হস্তক্ষেপ ও নিদেশে এবং তত্ত্বাবধানে কুতুবদিয়া-মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের প্রত্যেক্ষ সহগিতায় নারকীয় তান্ডব ও ভোট ডাকাতির নাটক মঞ্চস্ত করা হয়। জাতিরকাঙ্খীত নির্বাচনকে প্রহসনে পরিনত করা হয়।
এরই প্রক্ষিতে আপেল প্রতীকের প্রার্থী হামিদুর রহমান আযাদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট জাকের হোসাইন নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দেন।