রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা
প্রচ- ভ্যাপসা গরমে নীলফামারীর সৈয়দপুরের বিভিন্ন জায়গায় ভেজাল শরবত বিক্রি করা হচ্ছে। বরফ, বেল, দই, বিট লবণ, লেবু দেখে স্বাস্থ্যকর শরবত মনে করে সচেতন মানুষও তৃষ্ণা নিবারণে ছুটে যান ফুটপাতের এসব দোকানে। কিন্তু কেউ জানে যে শরবতের এসব উপাদানের সাথে মিশানো হচ্ছে ঘনচিনি ও বেলের শরবতকে আরো গাড়ো করার জন্য মেশানো হচ্ছে রং। সরেজমিনে গিয়ে উঠে এসেছে এমন চিত্র। গরমকালে এক গাস ঠা-া পানি পানে কিছুটা স্বস্তি আনে মানুষের জীবনে তাই সৈয়দপুর শহরের ছোট রেলঘুন্টি, বড় রেলঘুন্টি, রেললাইনের পাশে, টার্মিনাল সহ শহরের সব ব্যস্ততম এলাকায় এসব শরবত বিক্রি করতে দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ছোট রেল ঘুন্টিতে শরবত বানাতে ব্যস্ত ফুটপাতের দোকানদার সব। একজন বেল কাটছে আরেকজন বানাচ্ছে, আবার মগকে নিচে নিয়ে ঠিক বেলের মতই মেশানো হচ্ছে এক প্রকার রং যেটা এই বেলের শরবতকে করছে আরো গাড়ো অথচ এটা স্বাস্থ্যের জন্য কতই ক্ষতিকর তা দোকানদর বুঝলেও তার গ্রাহককে বুঝতে দিচ্ছে না। বিক্রেতারা মোহনীয় কণ্ঠে ক্রেতা সংগ্রহে ডাকতে থাকেন আবার সামনে আসলেই বাড়িয়ে দিচ্ছেন ঠা-া শরবত। তীব্র রোদে তৃষ্ণা নিবারণে কোনো বিচার না করে আকর্ষণীয় দেখতে হওয়ায় শহরবাসী ছুটে যাচ্ছেন এসব শরবতের দোকানে। সৈয়দপুরে গরম গরম ও দাবদাহে মানুষের জীবন প্রায় ওষ্ঠাগত। সকালের দিকে আকাশ মেঘলা থাকলেও দিন পোহাতেই ঝলমলে রোদ ঘড়ির কাটার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়াতে থাকে। বাড়তে থাকে অসহ্য গরমের তীব্রতা। ছোট রেল ঘুন্টির বিক্রেতার কাছে বেলের শরবতে সেই রং ব্যবহারের বিষয়ে জানতেই চাইলে দ্বিধাহীনভাবে বলেন, শরবতে হালকা রং আর ঘনচিনি ব্যবহার হবেই। একটি ছোট রঙ্গের পুড়িয়া খুলে দেখিয়ে বলেন, জানেন এইটুকু রং এর দাম কত? এভাবে বলার কারণ হলো এরা রং এর কুফল সম্পর্কে জানে না। যারা জানে তারা অবশ্য মুখ খোলে না। অনেক ক্রেতাও জানে না এই রং আর ঘনচিনি ব্যবহারের ফলে কী সমস্যা হয়। সৈয়দপুর শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, দেদারে বিক্রি হওয়া এসব ভেজাল শরবত পানে ৬১ শতাংশ মানুষ হৃদরোগ, কিডনি সমস্যা ও মস্তিষ্ক জটিলতায় ভোগেন। ফুটপাথের এসব শরবত জীবনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এসব রং ঘণচিনি ও অস্বাস্থ্যকর পানির মিশ্রণে তৈরি এসব শরবত খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া, কলেরা, জন্ডিস, হেপাটাইটিস এমনকি ভবিষ্যতে কিডনির সমস্যাসহ বড় ধরনের রোগ হতে পারে। সে কারণে গরমে সাময়িক কষ্ট হলেও ফুটপাতের এসব পানীয় পান করা থেকে সবার বিরত থাকা উচিত। বিশেষ করে ভেজাল এসব শরবত শিশুদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। শরীরের গঠন থেকে শুরু করে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন ভেজাল মুক্ত খাবার। না হলে ভবিষ্যত প্রজন্ম হবে মেধাশূন্য। এদিকে গরমের তীব্রতায় প্রতিদিন মৌসুমী রোগে আক্রান্ত হয়ে শত শত মানুষ চিকিৎসা নিতে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভিড় করছে। আক্রান্তদের মধ্যে ভাইরাস জ্বর, ডায়রিয়া রোগী বেশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।