Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীতে গ্রেফতার ৮

গুজবের কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের কনটেন্ট (ছবি ও ভিডিও) তৈরি ও প্রচারের অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তারা হলো-মাহমুদুর হাসান (২৭), আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৬), আব্দুল কাদের (২৮), মোরশেদুল ইসলাম (২২), সাইফুল ইসলাম মিঠু (২৯), দিদারুল ইসলাম (৩৫), আরিফুর রহমান (৩৪), মোতাহের হোসেন (২১)।

গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর মগবাজার ও মৌচাক এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ভিডিও কনটেন্ট তৈরির কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার মোবাইলসহ বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। গতকাল কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গ্রেফতাররা সংসদ নির্বাচনকে বিতর্কিত করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রীয় নানা বিষয় নিয়ে স্পর্শকাতর নেতিবাচক প্রতিবেদন তৈরি, অ্যানিমেশনের মাধ্যমে ছবি সংযোজন করে বিদ্রুপ ভিডিও, প্যারোডি গান, নাটক-নাটিকা ইত্যাদি তৈরির কাজ করত। তিনি আরও বলেন, ৮ জনের মধ্যে ৩ জন সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য। বাকি ৫ জন এসব কন্টেন্ট তৈরিতে বিভিন্নভাবে সংশ্লিষ্ট ছিল। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন শিক্ষার্থী। যারা দেশের স্বনামধন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে। সবাই শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।

মুফতি মাহমুদ খান আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে- গ্রেফতারকৃতরা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। এই প্রজেক্টের মূল কাজ হলো ছবি ভিডিও সংযোজন-বিয়োজনের মাধ্যমে নেতিবাচক কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার করা। এ জন্য তারা একটি স্টুডিও ভাড়া নিয়েছে। সেখান থেকে নিজেদের ইচ্ছেমতো নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন এবং সরকার ও রাষ্ট্র বিরোধী বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরি করে গুজব প্রচার করতো। তিনি বলেন, গুজব প্রচারের জন্য তাদের অন্তত ১৫০টি ওয়েবসাইট তৈরি করা ছিল। তারা কিছুদিন ধরে ফেসবুক ও ইউটিউবসহ বিভিন্ন পেজে গুজবের কনটেন্টগুলো প্রচার করে আসছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা songlap.net, bji.dcn, analysisbd.com, dinanishinews.com নামে কিছু গ্রুপ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন নেতিবাচক প্রচার ও ভুয়া সংবাদ প্রচার ও পরিবেশন করার কথা স্বীকার করে। তাদের মূলত উদ্দেশ্য ছিল এসব গুজব প্রচারের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে সরকারের সুনাম ক্ষুন্নের অপচেষ্টা চালানো। এছাড়া দেশীয় ভোটার ও নাগরিকরদের মধ্যে বিভ্রান্তির মাধ্যমে সরকারকে তাদের কাছে বিরোধী পক্ষ বা শত্রু হিসেবে উপাস্থাপন করা।
র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক গুজবের কনটেন্ট তৈরি ও প্রচারের জন্য কোনও একটি গ্রুপ তাদেরকে ৪৭ লাখ টাকা দিয়েছে। তবে অর্থের উৎস এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও কিছু ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে। অর্থের উৎস ক্ষতিয়ে দেখাসহ অন্যান্য জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
র‌্যাবের সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মাহমুদুল হাসানেরর বাড়ি লক্ষীপুর। সে সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠীর পরিচালক। নোমানের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা। সে সহকারী পরিচালক ও গায়ক। দিদারুলের বাড়ি নোয়াখালী। সে গায়ক ও নেপথ্য কন্ঠ দাতা। এছাড়া মোরশেদের বাড়ি লক্ষীপুর, কাদেরের নোয়াখালী, আরিফের চুয়াডাঙ্গা ও তুহিনের বাড়ি ফেনী বলে জানা গেছে। এর বাইরে চুয়াডাঙ্গার সাইফুল অভিনেতা হিসেবে তাদের বিভিন্ন কনটেন্টের চরিত্রে অভিনয়ের কাজ করতো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গুজবের কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার

৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ