নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দেশের ফুটবলে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) ব্যবহার নতুন কিছু নয়। গত মৌসুম থেকে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ এবং এবার সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব এই পদ্ধতি ব্যবহার করছে। তাদের ফুটবলাররা অনুশীলন ও ম্যাচের সময় ব্যবহার করছেন জিপিএস। কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয় দল এতদিন ফুটবলের নতুন এই প্রযুক্তি থেকে দূরে ছিল। তবে দেরীতে হলেও এবার জাতীয় দলও পাচ্ছে জিপিএস প্রযুক্তির সুবিধা। ক’দিন আগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছে ৪০টি জিপিএস পাঠিয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। যদিও এগুলো এখনো বাফুফে ভবনে এসে পৌঁছায়নি, চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে আছে। এই জিপিএসগুলো ব্যবহার করা হবে জাতীয় দলের অনুশীলনে।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘আমরা খুব শিগগিরই চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জিপিএসগুলো নিয়ে আসবো।যা ব্যবহার করা হবে জাতীয় দলের অনুশীলনে।’
গত জুনে জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েই বাফুফের কাছে জিপিএস চেয়েছিলেন ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে। একটু দেরিতে হলেও চাহিদা পূরণ হতে যাচ্ছে তার। আর এ কারণে খুব খুশি জেমি। আধুনিক ফুটবলে জিপিএসের অপরিহার্যতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একজন খেলোয়াড়ের রানিং থেকে শুরু করে ফিটনেসের অবস্থা জানা যাবে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে। এটা জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের খুবই কাজে লাগবে।’
ঢাকার ফুটবলে জিপিএসের পথিকৃৎ মারুফুল হক। আরামবাগের এই কোচ বলেন, ‘গত মৌসুমে আরামবাগ ক্লাবের দায়িত্ব নিয়ে জিপিএস ব্যবহার শুরু করি। গতবার আরামবাগের অনেকেই এটা নিয়মিত ব্যবহার করেছে। এবার তো সবাই ব্যবহার করছে জিপিএস।’
জিপিএস ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে মারুফুল বলেন, ‘এটার উপযোগিতা অনেক। জিপিএস প্রযুক্তি ফুটবলারদের সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিতে পারে কোচকে। জিপিএসের মাধ্যমে একজন ফুটবলারের সামর্থ্য এবং একটি নির্দিষ্ট দিনে তার পারফরম্যান্সের প্রতিচ্ছবি ধরা পড়ে। এটা ব্যবহার করলে ফুটবলারদের মাঝে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। যার ফলে তাদের খেলা হয় গতিময়। একজন পেশাদার ফুটবলার ম্যাচে ১১/১২ কিলোমিটার দৌড়ালে সেটাকে সন্তোষজনক বলা যায়। জিপিএস ব্যবহার করে সহজেই বোঝা যায় ফুটবলারদের পথ পরিক্রমা।’
জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড মাহবুবুর রহমান সুফিল। গত মৌসুমে খেলেছিলেন আরামবাগের হয়ে। জিপিএস নিয়ে তিনি বেশ উচ্ছ¡সিত। তার কথা, ‘এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ফুটবলারদের সামর্থ্যরে গাণিতিক হিসেব পাওয়া যায়। গত বছর আরামবাগের ফুটবলারদের মধ্যে আমি সবচেয়ে বেশি দৌড়েছিলাম। জিপিএস ব্যবহার করে কে কতটা দৌড়ালাম তা নিয়ে প্রতিযোগিতায় মেতে উঠতাম আমরা। জাতীয় দলে জিপিএস ব্যবহার শুরু হলে ভালোই হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।