বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাত পোহালেই ৩০ ডিসেম্বর জাতির কাঙ্ক্ষিত সেই সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে কক্সবাজারের ৪ টি আসনে থাকছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা।
এ জন্য জেলায় ৩০ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ৬ প্লাটুন নৌবাহিনী, ৪৮ প্লাটুন বিজিবি, ১০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স পুলিশ ও ২ কোম্পানি র্যাব। তবে র্যাব এর এই ২ কোম্পানি কক্সবাজার জেলা ছাড়াও চট্টগ্রামের দুইটি আসনের দায়িত্বে থাকবেন। আনাসার ও গ্রাম পুলিশ শৃংখলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে।
কক্সবাজারে ৪টি সংসদীয় আসনে ২৮ জন প্রার্থী প্রচার প্রচারণা করলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন ৮ জন। এ ৮জনই হলেন নৌকা ধানের শীষের প্রতিদ্বন্দ্বী।
জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে ৪টি পৌরসভা ও ৭১টি ইউনিয়নে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ২০৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৩৭৩ জন নারী ভোটার ও তরুণ ভোটার নির্বাচনে ফ্যাক্টর বলেই মনে করা হচ্ছে। মোট পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৭ লাখ ৭ হাজার ৮৩১ জন।
জেলা রিটার্নিং অফিস সুত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের ৪ আসনের জন্য ৮৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে থাকবেন। এর মধ্যে ৩২ জন কক্সবাজারে আগে থেকে কর্মরত ছিলেন। বাকী ৫৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মন্ত্রণালয় থেকে চাওয়া হয়েছে।
চকরিয়া পেকুয়া আসনে সেনাবাহিনী ১০ প্লাটুন, বিজিবি ১৩ প্লাটুন ও ৩ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।
মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন সেনবাহিনী ৫ প্লাটুন, নৌবাহিনী ৩ প্লাটুন, বিজিবি ১১ প্লাটুন, রিজার্ভ থাকবে আরো ২ প্লাটুন, পুলিশের ২ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স।
কক্সবাজার সদর রামু আসনে সেনাবাহিনী ১০ প্লাটুন, বিজিবি ১০ প্লাটুন, রিজার্ভ থাকবে আরো ৪ প্লাটুন, পুলিশের ৩ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।
আর উখিয়া টেকনাফ আসনে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন সেনাবাহিনী ৮ প্লাটুন , নৌবাহিনী ৩ প্লাটুন, বিজিবি ৬ প্লাটুন, রিজার্ভ থাকবে আরো ১ প্লাটুন,পুলিশের ২ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের ৪ টি আসনে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) তাদের ২ কোম্পানির বাহিনী সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। সেই সাথে তারা চট্টগ্রামের দুইটি আসনেও দায়িত্ব পালন করবেন।
সেনাবাহিনী মাঠে আসার পরেও কক্সবাজারের পুলিশী তান্ডব না থামায় ভোটাররা কিছুটা উদ্বিগ্ন। তবে সেনাবাহিনী ও র্যাব এর পক্ষ থেকে ভোটারদের প্রতি নির্ভয়ে ভোট কন্দ্রে ভোট দিতে যাওয়ার আহবানে ভোটাররা সাহস পেয়েছে। মানুষ দলে দলে ভোট কেন্দ্রে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।