বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে মহাজোটের প্রার্থী এমপি ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তার সাথে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন ধানের শীষ নিয়ে সাবেক ছাত্রনেতা শিল্পপতি ফয়সল আহমদ চৌধুরী। মন্ত্রী নাহিদের হ্যাট্রিক জয়ের পথে বাধা হয়ে দাড়িয়েছেন এই শিল্পপতি।
প্রবাসী অধ্যুষিত গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার, বরাবরই ভোটের মাঠ চাঙ্গা হয়ে উঠে এই আসনে। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। তবে মহাজোট প্রার্থী নাহিদের ভোট রাজনীতির মাঠ ছিল চরম প্রতিকূলে। সকল ব্যবস্থায় ছিলেন স্বর্ত:স্ফূর্ত তিনি । দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিরব-সরব বিরোধীতায় বিব্রত হতে হয়েছে তাকে। কিন্তু এসব বিরোধীতা নিছক বিরোধীতা হিসেবেই দেখছেন, মনে করলে মোকাবেলা করে বাগে নিয়ে এসেছেন তিনি। প্রশাসনের লোকজনের কাছে স্যার হিসেবে, পেয়েছেন সার্বিক সমর্থন। নির্ভারভাবে-ই কেটেছে পুরো নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা। এমপি হলে আবার মন্ত্রী হবেন তিনি। তাই সু-নজরে থাকতে তার বলয়ের লোকজনও নির্বাচনী মাঠে দিন পার করেছেন ব্যস্ততায়। তারাই মুলত মন্ত্রীর বিজয়ে ভূমিকা রাখবেন। তবে তাদের অতি উৎসাহী ভূমিকায়, ভোটারদেরর মধ্যে নাখোশভাবও এড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশী ধরপাকড়ের অযাচিত অবস্থানে তাদের নৈপথ্যতায় বিরক্ত সাধারন মানুষও।
এদিকে মন্ত্রী নাহিদকে ঠেক্কা দিতে ভোট যুদ্ধের মাঠে ধানের শীষ প্রার্থী শিল্পপতি ফয়সল আহমদ চৌধুরী। নির্বাচনের শুরু থেকেই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় অব্যাহত থাকে। একাদিক বিএনপি সমর্থিত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সহ গ্রেফতারের দীর্ঘ তালিকা রয়েছে। এ গ্রেফতারী ঘটনায় ঝড় উঠে সামাজিক জীবনে। এমনকি ধানের শীষ প্রার্থী ফয়সল চৌধুরীসহ দলের ২৫০ জন নেতাকর্মীর উপরও মামলার ঘটনা ঘটে। পুরোদমে কোনঠাসা ছিলেন ভোটের প্রচার-প্রচারনায় বিএনপির এই প্রার্থী। ভোটের মাঠে লেবেল প্লেয়িং কার্যত নেই এমন অভিযোগ একাধিক বার করেছেন ফয়সল চৌধুরী। কিন্তু অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। তবে ভোটাররা এহেন অবস্থা অবলোকন করেছে সর্তকভাবে। দমন-নিপীড়ন-হয়রানীতে তাদের মধ্যে জেগেছে সমবেদনা বিরোধী দলের প্রতি। একপক্ষীয় ক্ষমতার বাহাদুরীতে, তাদের মধ্যে হতাশা ও আফসোসের জ্বালা বেড়েছে নানাভাবে। বিষয়টি মুখে মুখে ছড়িয়েছে ভোটের মাঠে। নারী ভোটারদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা।
নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেয় সর্বত্র। গ্রামীণ সমাজে পুলিশী ভয়ে ভোট উৎসবে শরিক হতে পারেননি বিপুল সংখ্যক মানুষ। যারা গেছেন সাহস করে তারা ঘর-ছাড়া, বাড়ি-ছাড়া হয়ে থাকতে হয়েছে প্রতিনিয়ত। এতে করে নির্যাতীত- নিপীড়িত মানুষের প্রতি দরদী হয়ে উঠেছে আমজনতা। এআসনে ভীতিকর একটি পরিবেশ বিদ্যমান। মুখ খুলে কেউ তার সমর্থন ব্যক্ত করতে পারেনি। তবে মানুষ তার সমর্থন ব্যক্ত করতে অপেক্ষা করে চলছে ভোটের দিন। নিরবে দেখাবে খেলা, সেই খেলার আশায় ভোটরদের প্রতি আস্থাশীলী হয়ে আছেন ধানের শীষ প্রার্থী ফয়সল চৌধুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।