বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিভাগের চার জেলার ১৯ আসনের অর্ধেক কেন্দ্রকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে সংঘর্ষ ও সহিংসতা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। তবে নির্বাচন কমিশন থেকে কেন্দ্রগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ বলতে চাচ্ছেন না। তারা এগুলোকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলছেন।
সিলেট বিভাগে মোট ২৮০৫ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১৫৭২টি কেন্দ্রই নির্বাচন কমিশনের ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ। আর অধিক গুরুত্বপূর্ণের মধ্যে রয়েছে ২১২টি কেন্দ্র।
সিলেটের নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিলেটের যেসব কেন্দ্রে হানাহানি, সংঘাত, সহিংসতা, দখল, জাল ভোটের শঙ্কা রয়েছে সেগুলোকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত করা হচ্ছে। আর সংঘাত-সহিংসতা হওয়ার শঙ্কা প্রবল হলে ওই কেন্দ্রগুলোকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে- সিলেট বিভাগের সিলেট জেলায় ভোটকেন্দ্র আছে ৯৯২টি। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে ৬০৭টি। আর বাকি ৩৮৫টি কেন্দ্র সাধারণ।
সুনামগঞ্জ জেলার ৬৬৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হচ্ছে ৪১৭টি। সাধারণ কেন্দ্র আছে ২৫১টি।
মৌলভীবাজার জেলায় ৫১২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। সিলেট বিভাগের মধ্যে শুধুমাত্র এ জেলাতেই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র আছে।
এ জেলায় ২১২টি কেন্দ্রকে ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া ১২৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ও ১৭৪টি কেন্দ্র হচ্ছে সাধারণ।
হবিগঞ্জ জেলার ৬৩৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এ জেলার ৪২২টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ এবং সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে ২১১টি।
এদিকে সিলেট মহানগরী এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রগুলোর প্রত্যেকটিতে নিরাপত্তায় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর অন্তত ১৬ জন সদস্য নিযুক্ত থাকবেন। এদের মধ্যে অস্ত্রধারী পুলিশ ৩-৪ জন থাকবেন। এ এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রধারী ৪-৬ জনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তত ১৭ জন সদস্য নিযুক্ত থাকবেন।
মহানগরীর বাইরের এলাকার সাধারণ কেন্দ্রে থাকবেন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৪ জন সদস্য; তন্মধ্যে অন্তত দুজন অস্ত্রধারী থাকতে পারেন। আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রধারী ৩-৫ জনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৫ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবে।
পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা কেন্দ্রে মূল দায়িত্ব পালন করবেন। এর বাইরে মাঠে থাকবেন সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।