Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভীতিরোধে ডিএমপির সতর্ক প্রস্তুতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

আগামীকালের একাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তায় বলয় গড়ে তুলেছে র‌্যাব-পুলিশ ও বিজিবি। সকাল থেকে ঢাকার মোড়ে মোড়ে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালানো হয়। বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ক‚টনৈতিক এলাকাসহ নগরীর বিশেষ স্থপনাগুলোতে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে বাহিনীগুলো। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ ফায়ার সার্ভিস ও আনসার সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নির্বাচনে নাশকতা, সহিংসতা ও বিশৃংঙ্খলারোধে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি গতকালও র‌্যাব-পুলিশ ও বিজিবি নগরীর বিভিন্ন সড়কে জোরদার টহল চালায়।
এদিকে, আসন্ন নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
গতকাল রাজধনীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, ছুটির দিনে সড়ক ফাঁকা ও যানবাহনের সংখ্যা কম থাকলেও বিভিন্ন এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক তল্লাশি ও চেকপোস্টের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি মোড়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা যানবাহন থামিয়ে তল্লাশী চালান। রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, গুলশান বনানী, মহাখালী, বাড্ডা রামপুরা এলাকায় পুলিশ-র‌্যাবের পাশাপাশি বিজিবির সদস্যদেরও টহল দিতে দেখা গেছে।
উত্তরার র‌্যাব-১ এর কার্যালয় থেকে র‌্যাবের টহল শুরু হয়। গুলশান আব্দুল্লাহপুর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের চেকপোস্টে র‌্যাবের তল্লাশি অব্যাহত ছিল। র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রীক যে কোন সহিংসতা ঠেকাতে র‌্যাব প্রস্তুত রয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারির ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে র‌্যাবের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। তিনি বলেন, যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ভোট কেন্দ্রসহ নগরীর প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নজর মহাসড়কেও নজরদারি জোড়দার করা হয়েছে। এছাড়া গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজ উপলক্ষে নগরীর বায়তুল মোকাররম, কাকরাইল মসজিদসহ বিভিন্ন গুরুত্ব¡পূর্ণ মসজিদ এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি উপস্থিতি দেখা গেছে।
এদিকে, রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা গুলশানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি গাড়ি তল্লাশির আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য এলাকাতেও চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশির পাশাপাশি ফুট পেট্রোল, ভেহিকেল পেট্রোল ও মোবাইল পেট্রোল বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে কেউ যাতে নাশকতামূলক কর্মকান্ড করতে না পারে সে জন্য সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি চলছে। যে কোন বিশৃঙ্খলা এড়াতে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে ।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠ সংঘাতমুক্ত ও আনন্দমুখর রাখতে রাজধানীজুড়েই সুসংগঠিত ও সুদৃঢ় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, নিরাপত্তা বলয়ের অংশ হিসেবে রাজধানীজুড়ে পুলিশের চারটি কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। মিরপুর, আব্দুল গনি রোড, গুলশান ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনে এসব অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থাকবে। এর মাধ্যমে রাজধানীর ২ হাজার ১১৩টি ভোটকেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ৪-৫টি কেন্দ্র মিলিয়ে একটি করে পুলিশের মোবাইল টিম ডিউটিতে থাকবে। এছাড়া, যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। সুস্পষ্ট নিরাপত্তাজনিত কোন হুমকি না থাকলেও অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে নিরাপত্তা ছক সাজানো হয়েছে।
কমিশনার বলেন, ভোটের জন্য ভোটের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। ভোট শেষে সুষ্ঠুভাবে বাড়ি ফেরার জন্য যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক রয়েছে। একইভাবে পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি বিভাগ ভার্চুয়াল জগতের হুমকি, গুজব প্রতিরোধে সচেষ্ট রয়েছে। তিনি যে কোন গুজবের সতত্যা নিশ্চিতে ৯৯৯ নম্বরে কল করতে আহবান জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ