বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হামলা-মামলা হয়রানীতে বিপর্যস্ত বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২৩ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। ঘর-ছাড়া, এলাকা ছেড়ে দিশেহারায় অস্তিত্ব সংকটে তারা। সেকারনে নির্বাচনে দলের প্রার্থী নিয়ে নির্বাচনী যুদ্ধে লড়ছে তারা। ঘুরে দাড়ানোর এ সুযোগে তারা এখন মরিয়া। প্রার্থীর পক্ষে তাদের আওয়াজ তুঙ্গে। প্রচল চাপের মধ্যেও তারা বসে নেই নির্বাচনী মাঠে। কিন্তু বেকায়দায় মহাজোটের প্রার্থীরা। প্রার্থীরাই মাঠে লড়ছেন নিজদের বিজয় নিশ্চিতে। দলের কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে পুরোদমে ব্যর্থ হয়েছেন মনোনীত এ প্রার্থীরা। এতে করে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মহাজোটের প্রার্থী নিয়ে নেই কোন উত্তেজনা। দলের বেশিরভাগ কর্মী-সমর্থকই চেয়েছিল নতুন মুখে নির্বাচন। দাবী তুলেছিল মাঠে ময়দানে-দলীয় হাই কমান্ডে। দলের স্বার্থে এই দাবী হলেও মনোনীত এমপি প্রার্থীরা দলের এই নেতাকর্মীদের উপর হয়েছেন চরম নাখোশ। বিরোধীতাকে চ্যালেঞ্জ্য করে মনোনয়ন নিশ্চিত করেই ক্ষেপেছেন দলীয় নেতাকর্মীদের উপর। বলয়ের লোকেরা কানভারী করে দুরত্ব সৃষ্টি করে রেখেছেন দলের নেতাকর্মীদের সাথে এমপির। সেকারনে মান-অভিমানেন বরফ জমে, তেজদীপ্তহীন তারা। মাঠ গরমে গরজ হারিয়ে রাজনীতিক মেজাজে ভোঁতা হয়ে উঠেছেন তারা । তাই মাঠে স্বর্ত:স্ফূততায় নেই নেতাকর্মীরা। তাই প্রার্থীদের সাথে সুর মিলছে না দলের তৃণমুলে । দুর বা কাছে বসেই খেলা দেখছে প্রার্থীদের। কি করে পাশ করেন, সেই চ্যালেঞ্জ্যও অন্তরে পুষে রাখছেন। অবিশ্বাস্য হলে সত্য, মহাজোট প্রার্থীদের বিজয়ের চেয়ে পরাজয়ে আনন্দ সুখের অপেক্ষায় রয়েছেন দলের নেতাকর্মীরা। তারা নৌকার জন্য কাংগাল, ভালোবাসায় পরিক্ষিত হলেও প্রার্থীদের নিয়ে তাদের চরম আপত্তি। যার যার অবস্থান থেকে, ধারাবাহিক বিরোধীতা করে গেছেন সর্বত্র। কিন্তু বিরোধীতা নিয়ে মাথা ঘামায়নি দলের নীতিনির্ধারকরা। সেই লোকদের প্রার্থী করে মাথায় চেপে দিয়েছেন দলের হাই কমান্ড। এতে করে দল ও প্রার্থীবলয় নামক দু‘টি দেয়াল স্পষ্ট সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচনী এলাকায়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে নির্বাচনে। নেতাকর্মীদের ভাষায়, বাঘের পিঠে সওয়ার হয়ে নির্বাচনে বিজয়ের স্বপ্ন দেখছেন দলের প্রার্থীরা। কিন্তু সেই স্বপ্ন কতদুর বাস্তবতায় মিলে, তা দেখতে চায় তারা। নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থীরা, গোপনে প্রকাশ্যে কঠিন পরীক্ষায় পড়বেন খোদ নিজ দলের ত্যাগি নেতাকর্মীদের। সেজন্য দায়ি নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন। একাধিক সূত্র জানায়, অনেক প্রার্থী নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে নানা কৌশল চালিয়েছেন ভোটের মাঠে। নিজদের অফিসে, গাড়িতে হামলা ঘটনার মধ্য দিয়ে নেতাকর্মীদের ক্ষেপাাতে চেয়েছেন বিরোধী প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের উপর। কিন্তু হালে ঠিকেনি তা। অপরদিকে, বিএনপির প্রার্থীদের নিয়ে মনে মান-অভিমান নেই তৃণমুল নেতাকর্মীদের। কর্মী-সমর্থকরা নিজেরাই চরম বিপাকে সরকার দলের কর্মকান্ডে। তাই তারা সংঘঠিত হতে, নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রতীক হিসেবে গ্রহন করেছে প্রার্থীদের । নিজ গরজেই ভোটের মাঠে সরব নেতা-কর্মীরা। মামলা, হুলিয়ার পরও ভয়কে জয় করে অস্তিত্ব রক্ষার শপথে মাঠে সক্রিয় তারা । তাদের আওয়াজে-কর্মে প্রার্থীরা হচ্ছেন সাহসী, মনোবলে চাঙ্গা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।