বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গত ২৭ ডিসেম্বর খন্দকার আবদুল মুক্তাদির কর্তৃক বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সংবাদ মাধ্যমে বিজিবি সম্পর্কে যেভাবে বিরুপ মন্তব্য করেছেন তাতে আমরা চরমভাবে বিস্মিত ও বিব্রত হয়েছি। একজন দায়িত্বশীল এমপি পদ-প্রার্থীর কাছ থেকে বিজিবি’র মত একটি সু-শৃঙ্খল বাহিনীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন এ ধরণের বানোয়াট অভিযোগ মোটেই কাম্য ও শোভনীয় নয়।
অভিযোগে সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়কের নাম উল্লেখ করে বিএনপি’র নির্বাচনী কেন্দ্রে হামলা করে কয়েকজন বিএনপি’র সমর্থকদের আটক করা হয়েছে মর্মে যে মিথ্যাচার করা হয়েছে বিজিবি তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কারণ বিজিবি’র অধিনায়ক সেই সময় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। একজন ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক কখনও টহলের কমান্ডার হন না এবং নেতৃত্বও দেন না। এমনকি ঐদিন অধিনায়ক দাপ্তরিক কাজেই সারাদিন ব্যস্ত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়েছে যে, তিনি সরকারকে ক্ষমতায় আনার জন্য প্রকাশ্যে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। একজন পোষাকধারী বিজিবি কর্মকর্তা যিনি সেনা কর্মকর্তাও বটে এবং এ ধরণের একজন কর্মকর্তার পক্ষে এহেন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ একেবারেই নেই। ধরপাকড় এবং অফিস ভাংচুর বিজিবি’র কাজ নয়। বিজিবি বেসামরিক প্রশাসনের অনুরোধে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করে এবং প্রয়োজনে বিজিবি’র কাজ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানো, আইন-শৃঙ্খলা নষ্ট করা নয়। টিভি চ্যানেল, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সংবাদ মাধ্যমে খোলামেলাভাবে এ ধরণের মানহানিকর ভিত্তিহীন অভিযোগের মাধ্যমে বিজিবি’র সুনাম ক্ষুন্ন করার পাশাপাশি বিজিবিকে কারো প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা কারো জন্যেই সুখকর বলে অত্র সংস্থা মনে করে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।