Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে ব্যর্থ হলে ইসিকে জবাবদিহি করতে হবে -পীর সাহেব চরমোনাই ও নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৬:২২ পিএম
কোটি কোটি টাকা, শ্রম ও সময় ব্যয় করা জাতীয় নির্বাচন জনগণের কাঙ্খিত উৎসবমূখর করতে ব্যর্থ হলে আজ্ঞাবহ ইসিকে এর জবাব দিতে হবে। নির্বাচন যদি তামাশার হয় তবে তা হবে জঘণ্যতম একটি কাজ। ব্যর্থতা কাটাতে ইসিকে নির্ভয়ে ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে। নানান প্রতিকূলতা সত্ত্বে  ও ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার বিষয়কে দায়িত্ব হিসেবে নিতে হবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ গতকাল পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, বহু প্রত্যাশীত জাতীয় নির্বাচনকে অশংগ্রহণমূলক করতে আজ্ঞাবহ ইসি এখনও ব্যর্থ। শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে দেশবাসীর প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটবে বলে মনে হচ্ছে না। অর্থনীতির বিচারে একটি জাতীয় নির্বাচনে কি পরিমান টাকা, সময় ও শ্রম ব্যয় হয় নির্বাচন কমিশন নিশ্চয় এ বিষয়ে অবগত। তারপরও এ নির্বাচন যদি তামাশার হয় কিংবা ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার সময়সীমা বৃদ্ধি করার জন্য হয়, তবে তা হবে জঘন্যতম একটি কাজ। ইসিকে অবশ্যই এর জবাব দিতে হবে। পীর সাহেব কাল ৩০ ডিসেম্বর সকল ধরণের ভয়, হুমকি উপেক্ষা করে ইসলামীরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় হাতপাখায় ভোট দিতে ভোটারদের প্রতি আহবান জানান।
ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী ঢাকা ৮ আসনের মুফতি জিয়াউল হক মজুমদার বলেছেন, ইসি নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনো তৈরি করতে পারেনি। তিনি বলেন, ভোটের দিন সকল প্রার্থী, কর্মী ও সমর্থকদের প্রতি সমান আচরণ, নির্ভয়ে ভোটারদের ভোট দেয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে ইসিকে। দেশ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও মাদক গডফাদারদের নিয়ন্ত্রীত রাজ্যে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে দেশের শাসন ব্যবস্থায় ইসলামী নেজাম প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। জনগণ মিনার মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে সংসদে গিয়ে মিনার প্রতীকের প্রার্থীরা ইসলামী নেজাম প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে। গতকাল রাতে গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
 
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অংশগ্রহণকারী দলের প্রধান নিজ দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যম, বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারে সমান সুযোগ পেতেন। কিন্তু বর্তমান আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন সে সুযোগ থেকেও দলীয় প্রধানদের বঞ্চিত করেছে। তিনি বলেন, ইসি দলীয় সংর্কীনতার উর্দ্ধে  উঠতে না পেরে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। টেন্ডার্ড ভোটের নামে জালভোটকে স্বীকৃতি দেয়া ইসির জঘণ্য চক্রান্ত। তিনি ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবী জানান।


 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ