Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফরিদগঞ্জে ধানের শীষ প্রার্থীর বাড়িতে ফের হামলা, আহত ৩০

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৬:০০ পিএম

ফরিদগঞ্জে বিএনপির প্রার্থী সাবেক এমপি হারুনুর রশিদের বাড়িতে ফের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে। উপজেলার মান্দারখিল গ্রামে প্রার্থীর নিজ বাড়িতে আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। হামলার পর থেকে প্রার্থী নিজ বাড়ির ভেতরে অবরুদ্ধ রয়েছেন।
ঘটনাস্থল থেকে জানা গেছে, প্রার্থী হারুনুর রশিদ সকাল হতে নেতা কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। দুপুর ১২টা নাগাদ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র হাতে শতাধিক লোক অতর্কিতে হারুনের বাড়িতে ধর ধর চিৎকার দিয়ে হামলা করে।
এ সময় ধানের শীষের নেতাকর্মী সমর্থকরা সংগঠিত হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে ও পাল্টা ধাওয়া দেয়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা পিছু হটে।
এরপর দ্বিতীয় দফা দ্বিগুণ লোক নিয়ে পুনরায় হামলা করলে আবারও সংঘর্ষ বাঁধে। খবর পেয়ে পেছন থেকে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারা লাঠিচার্জ করে সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। এ সময় দ্বিমুখী সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। প্রায় দু’ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ধানের শীষের কর্মীরা পিছু হটে।
বিএনপির নেতারা বলেন, পোলিং এজেন্ট নিয়োগ বিষয়ে হারুন ভাই আমাদের সঙ্গে ঘরে বসে শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা করছিলেন। এ সময় প্রায় তিন শতাধীক নেতা কর্মী সমর্থক বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। আচমকা প্রথমে যুবলীগের কয়েকজন নেতার নেতৃত্বে একদল লোক আমাদের ওপর হামলা করে। আমরা আত্মরক্ষার্থে প্রতিরোধ করলে তারা পালিয়ে যায়। দ্বিতীয় দফা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের নেতৃত্বে দ্বিতীয় দফা হামলা করা হয়। এ সময় পুলিশ এসে আমাদের নেতা কর্মীদের ওপর চড়াও হয় ও বেধড়ক পেটায়। তাদের সঙ্গে সরকার দলীয় নেতা কর্মীরাও যোগ দেয়। সংঘর্ষ চলাকালীন আন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
এ ব্যপারে ফরিদগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এস আই সুমন মজুমদার বলেছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে। তারা না ফেরা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। এদিকে প্রার্থী হারুনুর রশিদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ