Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্যাতন-নিপীড়ন অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে

সিলেটে জরুরী সংবাদ সম্মেলনে দিলদার সেলিম

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৩:৩১ পিএম

সিলেট-৪ আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিম অভিযোগ করেছেন- ‘আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী চরম নির্যাতন, নিপীড়ন চালিয়ে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করতে চাচ্ছে। জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের উপর যে নির্যাতন, নিপীড়ন চালাচ্ছে তা অতীতের সকল রেকর্ডকে হার মানিয়েছে। তিন উপজেলায় প্রায় আড়াইশ নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্তত ১০টি গায়েবি মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ছাড়া করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টের কনফারেন্সরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দিলদার হোসেন সেলিম বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার পূর্বনির্ধারিত সর্বশেষ নির্বাচনী জনসভাটিও আমাকে করতে দেয়নি আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। জাফলং আমির মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জনসভায় যোগ দেয়ার জন্য আমি সিলেট শহর থেকে রওয়ানা দিয়ে গোয়াইনঘাটে পুলিশ আমার গাড়ির গতিরোধ করে। এসময় তারা গাড়িতে আমার নেতাকর্মীর সাথে অশুভ আচরণ করে। এসময় তারা আমার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক শাহ আলম স্বপনকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর আরও ৫০০ গজ যাওয়ার পর বিজিবি আমার গাড়ির গতিরোধ করে। তাদের সাথে পুলিশও এসে যোগ দেয়। এসময় তারা আমাকে জনসভায় যেতে বাধা দেয়। তারা আমাকে আবার শহরের দিকে ফিরিয়ে দেয়।

সেলিম অভিযোগ করেন, তিনি শহরে পৌঁছে জানতে পারেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী রাধানগরে তার গ্রামের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে। শেষ নির্বাচনী পথসভার মঞ্চ ও প্যান্ডেল ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু আমি গত ৮ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাচনী অফিসার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জনসভার বিষয়টি অবগত করেছি।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা দিলদার হোসেন সেলিম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরোও বলেন, পুলিশ অসংখ্য নেতাকর্মীর বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। ধানের শীষের প্রচারণা চালাতে গেলেই তারা বাধা দিচ্ছে; কোথাও পোস্টার লাগাতে দেয়া হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিজেরা নিজেদের নির্বাচনী কার্যালয় ও প্রচারগাড়িতে ককটেল ফুটিয়ে আমাদের উপর দায়ভার দিচ্ছে। পুলিশ এসব ঘটনায় আমাদের নেতাকর্মীদের উপর মামলা দিচ্ছে।

সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিম আরোও অভিযোগ করেন, বুধবার নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহাব উদ্দিন গ্রেফতার করা হয়। প্রতিনিয়তই পুলিশ নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ইমরান আহমদ জোরপূর্বক জনরায় ছিনিয়ে নিতে চাচ্ছেন।

নির্বাচনের কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই তাকে প্রচার-প্রচারণায় বিভিন্নভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে অভিযোগ করে দিলদার হোসেন সেলিম বলেন, নির্বাচনী কার্যক্রম শুরুর পরপরই প্রথমে তিন থানায় তিনটি ‘গায়েবি’ মামলা করা হয়। বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। গত বিজয় দিবসের দিন নোয়াগাঁও মসজিদের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা শামীমের নেতৃত্বে তার বাহিনী আমার উপর হামলা চালায়। এতে আমার গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাৎক্ষণিক আমার নেতাকর্মীরা আমাকে রক্ষা করেন। না হলেও আমি হয়তে প্রাণে বাঁচতে পারতাম না। বিষয়টি নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। গোয়াইনঘাটে ফতেহপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বাবরুল হোসেন বাবুলের বাড়িতে, ইউনিয়ন মেম্বার হেলাল উদ্দিনের দোকানেও ভাংচুর করা হয়েছে।

দিলদার হোসেন সেলিমের বিশ্বাস সিলেট-৪ আসনের ভোটাররা সকল ভয়ভীতির উর্ধ্বে উঠে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ধানের শীষের পক্ষে ভোট দিয়ে তাদের নিরব বিপ্লব ঘটাবেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ