Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নীরব ভোটে বুমেরাং হতে পারে মহাজোটের ছক

সিলেট ব্যুরো: | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৪৪ এএম

শেষ হচ্ছে ভোটের মাঠ স্লোগান। সেকেন্ড-মিনিট-ঘন্টার ধারাবহিকতায় রোববার সকালে বহুল প্রত্যাশিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। মাঠ পর্যায়ে চরম বিপাকে রয়েছেন বিরোধী দলের প্রার্থীরা। দলের কর্মী-সমর্থকরা ব্যাপক হারে ধরপাকড়ের শিকার।
মামলা হচ্ছে প্রার্থীদের নামে। শ্যাম রাখি না কূল রাখি অবস্থা বিরোধী শিবিরে। তারপরও ভোটের মাঠে বীরদর্পে নিজদের জানান দিয়ে টিকে রয়েছেন বিরোধী দলের প্রার্থী ও সমর্থকরা। কৌশলে অনেকে গা-ডাকা দিয়ে ভোটের দিন আওয়াজ তোলার প্রস্তুতিতে। অজানা আতঙ্ক সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিদ্যমান থাকলেও ভোটাধিকার প্রয়োগে তারা অধীর অপেক্ষা করছেন।
নিরব ভোট এবার ঘাতকের ভূমিকায় অবর্তীণ হয়ে নির্বাচনী নীল নকশার ষড়যন্ত্র বুমেরাং করে দিতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন ভোটারা। সিলেটে-৬টি আসনে দলীয় ভাবে জনপ্রিয়তার মানদন্ডে উত্তীর্ণ হতে পারেননি মহাজোটের কোন প্রার্থীই। তারপরও নানা নাটকীয়তার পর দল তাদের মনোনয়ন দিয়েছে। মনোনয়ন বদলির দাবিতে জোর প্রতিবাদও হয়েছে। তারপরও দলের ভোটারদের নিকট তাদের মুখোমুখি করে দিয়েছে হাইকমান্ড। দলীয়ভাবে যারা মানদন্ডহীন তাদের জনপ্রিয়তা নেই সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও। মনোনীত প্রার্থীরাও কেয়ারই করছে না স্থানীয় দলের মনোনয়নে বিরোধী নেতাকর্মীদের। সেকারণে চরমভাবে আপসেট সরকার দলের নেতাকর্মীরা এমন অবমূল্যায়নে। একই সাথে সাধারণ ভোটাদের পাত্তা দেয়ার আলমতও নেই। তবে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীও তাদের সক্রিয় কর্মী-সমর্থকদের দমনে কঠোর অবস্থানে মহাজোটের প্রার্থীরা। কোনঠাসা করে রাখতে চরমভাবে চাপে রাখছেন তাদের। মামলা-হয়রানি গ্রেফতার আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছাড়া বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। গ্রেফতারি-হয়রানি ঘটনায় তৃণমূলে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। অসন্তোষের তীব্রতা ছড়াচ্ছে ঘরে ঘরে পাড়া মহল্লা হয়ে সর্বত্র। ভোট উৎসবে বদলে ক্রন্দনের মাতম চলছে গ্রেফতারকৃত বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের পরিবারগুলোতে। আজব এক তামাশায় কাংখিত ভোট পরিস্থিতির বাস্তবতা দেখছেন ভোটাররা। সাধারন ভোটাররা স্ব-চক্ষে দেখেছেন ভোটের মাঠে এক পক্ষ কার্যত বন্দি, অপরপক্ষ যেমন খুশি তেমন আছে নির্ভয়ে। রাজনীতিক দলের এ নির্বাচনে প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের মাঠ মোকাবেলায় কোন উল্লেখযোগ্য তৎপরতা নেই সরকার দলের নেতাকর্মীদের। ভোট রাজনীতির মাঠে চরম চাপের মধ্যেও বসে নেই সরকার বিরোধী প্রার্থীদের পদচারণা। অতি কৌশলে গ্যারিলা কায়দায় মাঠে রয়েছেন সক্রিয়। এতো নজিরবিহীন প্রতিকূল পরিবেশেও নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে না যাওয়া প্রত্যয় তাদের মধ্যে। তবে সরকার বিরোধী প্রার্থী ও হয়রানীর শিকার নেতাকর্মীদের প্রতি চরম সহানুভূতিশীল হয়ে উঠছেন সাধারণ নিরব ভোটারা। গ্রামীণ সর্ম্পকের নিরীখেই পাশে দাঁড়িয়ে অভয় দিয়ে যাচ্ছেন তারা গ্রামের সাধারণ মানুষ। অনেকে বলছেন, সময় ভালো নয়, সবর কর। ইংগিত করছেন সরকার দলীয় ওয়ার্ড নেতাকর্মীদের। তারা মনে করছেন ওই নেতাদের প্রত্যক্ষ পরোক্ষ চাপে পুলিশ বাধ্য হচ্ছে বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে।



 

Show all comments
  • Mohammed Kowaj Ali khan ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:০৫ এএম says : 0
    সিলেট জিলা বিশ্বের বড় একটি সুন্দর। সিলেট জিলার সম্মানিত জনগণ খোবই সচেতন। সিলেট জিলা ১৯৪৭ সালে বীরত্বের সহিত ভোটাভোটির মাধ্যমে পাকিস্তানের অন্তভূক্ত হন। সিলেটজিলা পাকিস্তানের অন্তভূক্ত না হইলে বাংলাদেশের জন্ম হইতোকিনা সন্দেহ আছে। স্বাধীনতা যুদ্বে যখন অনেক নেতা আত্বসমরপণ করিয়াছিলেন তখন সিলেট জিলার সকল, যুদ্ধ করিলেন টাকা দিয়া অস্ত্র কিনিলেন দেশে বিদেশে আন্দুলন করিলেন সেই আন্দোলনের ফসল আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ,। আল্লাহপাকের খাছ রহমত। সিলেট জিলা সহ সমগ্র বাংলাদেশে বীজয়ী হইবেন ধানের শীষ। ইনশাআল্লাহ। ********* কারণ বাংলাদেশের মানূষ ঘৃণা করেন মিত্যাকে আর জুলুমবাজকে। ইনশাআল্লাহ। *********
    Total Reply(0) Reply
  • রাশেদ ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:১০ এএম says : 0
    আমরা সুখ দুখে আমাদের নেতাদেরকে পাশে পাবোনা । পাব আমার পাশের সেই আওয়ামীলীগ/বিএনপি ভাইটাকে ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ