নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ক্রাইস্টচার্চে প্রথম দিন থেকেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন পেসাররা। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বল হাতে সুইংয়ের পসরা সাজিয়ে বসেন কিউই ফাস্ট বোলার ট্রেন্ট বোল্ট। ৬ উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কান ইনিংসকে একাই বিধ্বস্ত করেন তিনি। আর ব্যাট হাতে কিউই টপ অর্ডার দলকে এগিয়ে থাকার স্বস্তি এনে দেন।
১৫টি ম্যাজিক্যাল বলে মাত্র ৪ রান খরচে ৬ উইকেট তুলে নেন বোল্ট। তার এমন বিধ্বংসী বোলিংয়ে গতকাল ৪ উইকেটে ৯৪ থেকে মুহূর্তে ১০৪ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। আর নিউজল্যান্ড পায় ৭৪ রানের লিড। টম ল্যাথাম ও জিত রাভালের ফিফটিতে ২ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রান তুলে ৩০৫ রানে এগিয়ে থেকে দিন শেষ করে নিউজিল্যান্ড।
২১ রানেই ৩ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কার হয়ে ব্যাট হাতে লড়াই করে দেখিয়েছেন অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। তার ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে ৪ উইকেট ৮৮ পর্যন্ত পৌঁছায় লঙ্গান ইনিংস। কিন্তু ওপাশ থেকে কেউই তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি।
ইনিংসের ৩৭তম ওভারে খেলার মোড় কিউইদের দিকে পুরোপুরি ঘুরিয়ে দেন বোল্ট। তখনও তার নামের পাশে কোনো উইকেট নেই। রোশেন সিলভাকে দিয়ে তার উইকেট উৎসবের শুরু। তার করা অফ-স্ট্যাম্পের বাইরের বলে থার্ড স্লিপে দাঁড়ানো টিম সাউদির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রোশেন।
নিজের পরবর্তী ওভারে নিরোশান ডিকভেলাকে সাউদির ক্যাচে পরিণত করে ফেরান বোল্ট। শেষের ৪ ব্যাটসম্যানই শুন্য রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন। যদিও বোল্ট হ্যাটট্রিক মিস করেছেন, তবু তাকে সপ্তমবারের মতো টেস্টে পাঁচ উইকেট পাওয়া থেকে আটকাতে পারেননি লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা।
১৫ ওভার বল করে ৩০ রান খরচে ৬ উইকেট, এটি বোল্টের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।এছাড়া একটা রেকর্ডও গড়েছেন। আর কোনো বোলার মাত্র ১৫ বল বা তার কমে ৬ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়ে দেখাতে পারেননি।
জবাবে দুই ওপেনার টম ল্যাথাম ও জিত রাভাল মিলে ১২১ রানের জুটি গড়েন। ফিফটি তুলে নিয়ে সেঞ্চুরির দিকে ছুটছিলেন রাভাল। কিন্তু লঙ্কান বোলার দিলরুয়ান পেরেরার বলে শর্ট লেগে ক্যাচ তুলে দিয়ে ব্যক্তিগত ৭৪ রানে বিদায় নেন রাভাল।
কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ক্রিজে এসে শুরুতে নড়বড়ে অবস্থায় থাকলেও ক্রমেই নিজেকে সেট করে নেন। কিন্তু ফিফটি থেকে কিছুটা দূরত্বে থাকতে লাহিরু কুমারার বলে ফার্স্ট স্লিপে থাকা কুশাল মেন্ডিসের হাতে কাচ তুলে দিয়ে ফেরেন উইলিয়ামসন।
একপ্রান্তে ২ উইকেট পতন হলেও একপাশে স্থির ব্যাটিং চালিয়ে অপরাজিত থাকেন ল্যাথাম। অপরপ্রান্তে নতুন আসা ব্যাটসম্যান রস টেইলর সুরাঙ্গা লাকমলের এক ওভারেই টানা চার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিজেকে সেট করে নেন। দিন শেষে দুজনে যথাক্রমে ৭৪ ও ২৫ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন।
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১৭৮
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: (আগের দিন শেষে ৮৮/৪) ৪১ ওভারে ১০৪ (ম্যাথিউস ৩৩*, সিলভা ২১, ডিকভেলা ৪, পেরেরা ০, লাকমল ০, চামিরা ০, কুমারা ০; বোল্ট ৬/৩০, সাউদি ৩/৩৫, ডি গ্র্যান্ডহোম ১/১৯, ওয়েগনার ০/১০)।
নিউ জিল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৭৯ ওভারে ২৩১/২ (রাভাল ৭৪, ল্যাথাম ৭৪*, উইলিয়ামসন ৪৮, টেইলর ২৫*; লাকমল ০/৩৮, কুমারা ১/৬০, চামিরা ০/৫৩, পেরেরা ১/৫৭, গুনাথিলাকা ০/১৯)। *দ্বিতীয় দিন শেষে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।