রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে ক্ষমতাসীন আ.লীগ ও বিএনপিসহ সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এরমধ্যে বড় দু’দল বাংলাদেশ আ.লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। বাকি ৪ প্রার্থীর জামানত হারানোর শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা।
এ আসনের রাজনৈতিক দল, ভোটার ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, বরাবরের মতো এবারও বড় দুই দলের প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনী প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবে। তারা জানান, বিএনপির প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকের নাছির উদ্দিন চৌধুরী একবার উপমহাদেশের বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান পরলোকগত নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রায় এক দশক পর নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ করায় এবার তার বিজয় হবে বলে মনে করেন তারা। তাছাড়া সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে বিজয়ী হওয়া ড. জয়া সেনগুপ্তা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন চমক দেখাতে পারবেন বলে মনে হয় না।
আ.লীগ ঘরনার বেশ কয়েকজনের সাথে আলাপকালে নাম প্রকাশ না শর্তে জানান, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ড. জয়া সেনগুপ্তা নির্বাচিত হলেও দলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোন নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এ আসনে বিভিন্ন ব্যক্তির প্রভাবের কারণে অনেকেই নিশ্চুপ হয়ে গেছেন। তারা নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেয়া থেকেও বিরত থাকবেন বলেও নিশ্চিত করে এই সূত্রটি।
দিরাই উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে ৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এরমধ্যে জাতীয় পার্টির রুহুল আমিনের মনোনয়ন বাছাইয়ের সময় বাতিল হয় এবং বিএনপির তাহের রায়হান চৌধুরী প্রত্যাহার করেন। বাকি ৬ জন সর্বশেষ নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।
সূত্র মতে, বর্তমানে সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসেন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে মাঠে দিনরাত চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপি প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকের মো. নাছির উদ্দিন চৌধুরী, আ.লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীকের ড. জয়া সেনগুপ্তা এমপি, মুসলিম লীগ প্রার্থী হারিকেন প্রতীকের মাহমুদ হাসান চৌধুরী রানা, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকের মোঃ আব্দুল হাই, গণতন্ত্রী পার্টি কবুতর প্রতীকের গুলজার আহমদ ও কমিউনিস্ট পার্টি কাস্তে প্রতীকের নিরঞ্জন দাস। তবে মাঠ পর্যায়ে ভোটারদের কাছে বিএনপি ও আ.লীগের প্রার্থী ছাড়া অন্যদের উল্লেখযোগ্য কোন গ্রহণযোগ্য নেই বলে জানা গেছে। ফলে বাকি ৬ জনের নির্বাচনে জামানত হারানোর আশঙ্কা করছেন সচেতন ভোটার মহল।
একটি পৌরসভাসহ সুনামগঞ্জ-২ আসনের ১৩টি ইউনিয়নের মোট ভোটর সংখ্যা দুই লাখ ৫০ হাজার ৭১১ জন, এরমধ্যে পুরুষ এক লাখ ২৪ হাজার ৯৪০ জন ও নারী এক লাখ ২৫ হাজার ৭৭১ জন। এ আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১১০টি, এরমধ্যে দিরাইয়ে ৭৪টি ও শাল্লায় ৩৬টি বলে নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।