বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনে নৌকাকে বিজয়ী করতে সূদুর প্রবাস থেকে দেশে এসে দিনরাত প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামীলীগের দুই নেতা। আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী একাব্বর হোসেনের পক্ষে তারা এ প্রচারণায় নেমেছেন বলে জানা গেছে। প্রবাসী ওই দুই নেতা হলেন হংকং শাখা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ লিটন ও কানাডা প্রবাসী প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা ক্রিড়াবিদ মোফাজ্জল হোসেন দুলাল।
উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ লিটন দীর্ঘদিন যাবত চীনের প্রাদেশিক শহর হংকং এ বসবাস করে ব্যবসা করছেন। তিনি হংকং শাখার আওয়ামীলীগ সভাপতির দায়িত্বও সুনামের সঙ্গে পালন করে আসছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে সূদুর হংকং থেকে দেশে আসেন এবং টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী একাব্বর হোসেনের পক্ষে প্রচারণা চালচ্ছেন। দলীয় প্রার্থীর পক্ষে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগ করা ছাড়াও তার নিজ ইউনিয়ন বহুরিয়াতে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে রাতদিন প্রচারণা চালাচ্ছেন। আবুল কালাম আজাদ লিটন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে উন্নয়নের ধারা চালু হয়েছে তা অব্যহত রাখতে পুর্নরায় নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। আর সে লক্ষেই তিনি নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে হংকং থেকে দেশে এসে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন।
অন্যদিকে ভাওড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা কানাডা প্রবাসী প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক ক্রীড়াবিদ মোফাজ্জল হোসেন দুলাল দীর্ঘদিন মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তিনি আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি পদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। তার দুই ছেলে দীর্ঘদিন ধরে কানাডা প্রবাসী হওয়ায় তিনিও ছেলেদের সঙ্গে কানাডা অবস্থান করছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা হলে সূদুর কানাডা থেকে নৌকার পক্ষে কাজ করতে দেশে চলে আসেন।
সত্তরোর্ধ মোফাজ্জল হোসেন দুলাল নৌকার প্রার্থী একাব্বর হোসেনকে বিজয়ী করতে সার্বক্ষনিক সফর সঙ্গী হিসেবে প্রচার-প্রচারনায় অংশ নিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। এছাড়া তার নিজ ইউনিয়ন ভাওড়াতে আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সেখানকার নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
সাবেক ক্রীড়াবিদ মোফাজ্জল হোসেন দুলাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে যাচ্ছি। তাছাড়া জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি ব্যক্তিভাবেও ঋণী। তিনি ১৯৯৬ সালে হার্ডের চিকিৎসার করার জন্য আমাকে নগদ অর্থ সহায়তা করেছিলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই বলে সূদুর কানাডা থেকে জীবনের শেষ সময়ে দেশে এসে নৌকার পক্ষে কাজ করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।