রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম) আসন থেকে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া একাধিকবার নির্বাচিত হওয়ায় এ আসনটি ভিআইপি আসন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তবে দুই মামলায় দন্ডিত হওয়ায় এবার খালেদা জিয়া প্রার্থী হতে পারেনি। এ আসনে জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তরুন রাজনীতিবিদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবদলের সভাপতি মুন্সি রফিকুল আলম মজনুকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে শুরু থেকে মজনু প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে নির্বাচনটা তার নয়। তিনি খালেদা জিয়া ছায়া মাত্র। খালেদা জিয়ারই প্রতিনিধিত্ব করছেন। ফুলগাজী উপজেলায় খালেদা জিয়ার পৈত্রিক বাড়ি যার কারণে এ অঞ্চলের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়াকে নিয়ে গর্ব করে থাকেন। তবে এবার খালেদা জিয়া মাঠে নেই, জেলে, তাতে কি। মজনুকে নিয়েই মাঠে বিএনপি নেতাকর্মীরা। নির্বাচনী মাঠে নৌকা-প্রতীকের প্রার্থীর নেতাকর্মীদের উৎসব মুখর আয়োজন দেখা গেলেও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে শংঙ্কা। ধানের শীষ প্রার্থীর গণসংযোগে নেতাকর্মীদের মাঝে খুব একটা উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি। বরং অনেককে দেখে মনে হয়েছে. তারা ভীত ও আতঙ্কিত। এ আসনের ধানের শীষের পোস্টারেরও তেমন আধিক্য নেই। তবে নেতাকর্মীদের গণসংযোগে ব্যস্ততা বেশ চোখে পড়েছিল। রফিকুল আলম মজনু নিজেকে খালেদা জিয়া প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে ভোটারদের কাছে টানছেন। রফিকুল আলম মজনু জানান, প্রত্যাশা অনুযায়ী এখনও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেখতে পাচ্ছিনা। মহাজোট প্রার্থীর নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আমাদের প্রচার প্রচারণায় আক্রমন করছে। নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও কর্মী সমর্থকদের মারধর করছে। নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। গত বুধবার দুপুরে আমার ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাচনী অফিস থেকে অন্যায়ভাবে পুলিশ ১০-১১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে বিষ্ফোরক আইনে মিথ্যা মামলা দেয়। বিষয়টি আমি ফেনী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অবহিত করেছি। অপরদিকে, মহাজোট প্রার্থী জাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য শিরীন আখতার বিরামহীনভাবে প্রচার প্রচারণা চালিয়েছেন। এ আসনের আ.লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবের সাবেক কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও জেলা আ.লীগের সদস্য আলহাজ শেখ আবদুল্লাহ নাটকীয়ভাবে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় আ.লীগ ও মহাজোটের নেতাকর্মীদের নিয়ে অনেকটা টেনশনমুক্তভাবে প্রচার-প্রচারণা ও সভা সমাবেশ করেছেন শিরীন আখতার। গত সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই শিরীন আখতার এলাকায় রয়েছেন। তিন উপজেলার রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভাট, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ণ করেছেন। যার কারণে ভোটাররা তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন এমনটাই জানালেন জাসদের নেতাকর্মীরা। তবে ভোটারদের অভিমত মহাজোট প্রার্থীর নৌকা এবং বিএনপির প্রার্থীর ধানের শীষের মধ্যেই মূল প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবে।
এদিকে গত বুধবার বিকেলে ফুলগাজী বাজারে মহাজোট আয়োজিত নৌকা মার্কার সমর্থনে জনসভায় প্রধানঅতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ও মানুষের শান্তি দিয়েছে শেখ হাসিনা। তাই তাকে আবারো ক্ষমতায় এনে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, ফেনী-১ আসনে শিরীন আখতারের নৌকা প্রতীক হলো বঙ্গবন্ধুর, প্রধানমন্ত্রী ও এ দেশের গণমানুষের। তাই শিরীন আখতারকে বিজয়ী করে শেখ হাসিনাকে নৌকা উপহার দিতে চাই। নৌকার বিজয়ে প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, শিরীন আখতারকে বিজয়ী করেই আমরা ঘরে ফিরব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।