বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পথসভায় হামলার অভিযোগ এনে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিএনপির প্রায় ২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। যুবলীগ নেতা মুকুল হোসেন বাদি হয়ে মঙ্গলবার রাতে সরিষাবাড়ী থানায় মামলাটি (নং ২২, তাং ২৫-১২-২০১৮) দায়ের করেন। এদিকে মামলাটি মিথ্যা ও হয়রানীমুলক বলে দাবি করেছে বিএনপি।
মামলায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পোগলদিঘা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মামুন ফকির এবং সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা যুবদলের সভাপতি একেএম ফয়েজুল কবীর তালুকদার শাহীনসহ নামোল্লেখ করে ২২ জন এবং অজ্ঞাত আরো ১০০-১৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে। উল্লেখ্যযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন বেলজিয়াম বিএনপির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সেলিম, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাফিজুর রহমান মিলন, সাবেক সভাপতি প্রভাষক শহিদুল্লাহ্ শহিদ ভিপি, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নিপ্পন মিয়া প্রমুখ।
জানা গেছে, গত ২৪ ডিসেম্বর (সোমবার) সরিষাবাড়ী পৌরসভার আরামনগর বাজারে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী ডা. মুরাদ হাসানের নির্বাচনী পথসভাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগে সংঘর্ষ হয়। এ সময় উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগসহ অন্তত ৩০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ১০টি মোটর সাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি আওয়ামী লীগের পূর্বপরিকল্পিত দাবি করে বিএনপি নেতাকর্মীরা মানববন্ধন করে। তবে এটি বিএনপির সাজানো নাটক বলে অভিযোগ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা। পরে নির্বাচনী পথসভায় হামলার অভিযোগ এনে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা করেন যুবলীগ নেতা।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পথসভায় হামলার অভিযোগে মামলাটি দায়ের হয়েছে। মামলার কোনো আসামি এখনো আটক হয়নি, তাদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত আছে।’
জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম অভিযোগ করেন, ‘জামালপুর-৪ আসনে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত দেখে আইনকে ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে আমার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। তবুও আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিএনপিকে ভয় পেয়ে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও বাজারে হামলা করে,এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে উল্টো মামলা দায়ের করেছে।’ মামলাটি বিএনপিকে মাঠছাড়া করার জন্যই করা হয়েছে এবং তা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক বলে তিনি দাবি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।