বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মানুষ আসছে। তবে নাড়ির টানে নয় আসছে ভোটের টানে। নিজেদের অধিকার আদায়ের সংকল্প নিয়ে ফিরছে নিজ এলাকায়। এ যেন ঈদ এর পূর্ব মুহূর্তের চির চেনা দৃশ্য। বাস ট্রেন ভর্তি হয়ে মফস্বলের জেলাগুলিতে ঢুকছে। কিন্তু ফিরছে একেবারে ফাকা হয়ে।
আলাপ হলো দিনাজপুর ষ্টেশনের সুপারিন্টেনডেন্ট এর সাথে। উদ্দেশ্য একটি টিকেট পাওয়া যাবে কিনা ঢাকা যাওয়ার জন্য। হাসতে হাসতে তিনি বললেন একটি না কয়টি লাগবে কাউন্টারেই পাওয়া যাচ্ছে। তার মতে ঈদের আগে যেমন ফিরতি টিকেট অবিক্রীত পড়ে থাকতো আবার ঈদের পর থেকেই সকল টিকেট অগ্রিম বিক্রি হয়ে যেতো। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। ভোটের এক দিন পর থেকেই অগ্রিম টিকেট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
একই অবস্থা বাসগুলির। ঢাকা থেকে বানের পানির মত মানুষ ঘরে ফিরছে। আলাপ হলো একজন সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়া বেকার যুবকের সাথে। মাঠের পরিস্থিতি কি তা নিয়ে চিন্তা থাকলেও জীবনের প্রথম ভোট যে ভাবেই হোক। তার মতে জোর করে ভোট আদায়ের চেষ্টা যারা করছে বা করবে তারা ভুল করবে। ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হলে তা হবে আরো বোকামি। কেননা তরুন ভোটারদের এবার থামাতে পারবে না। তারা ভোট কেন্দ্রে যাবেই। একই মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সন্তানদের পড়াশোনার খরচ যোগানো মফস্বলের গরীব পিতা মাতা ভাইরাও ঘরে বসে থাকবে না। কারন সন্তানের চাওয়া পাওয়াই তাদের চাওয়া পাওয়া।
দিনাজপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোটের সামনে আলাপ হলো কয়েকজন বয়স্ক নারী পুরুষ। তারা এসেছে বুধবার ভোরে তাদের উপজেলা চেয়ারম্যানকে ধরে এনেছে পুলিশ। তার মুক্তির জন্য হাজার হাজার গ্রামবাসীর সাথে তারাও এসেছে। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া এসব মানুষ রাজনীতি বুঝে না। তবে ধানের দাম নেই এটা বুঝে। তারা মানতে চায় না খালেদা বা হাসিনা কেউ এতিমের টাকা মেরে খেতে পারে। কিন্তু খালেদা আজ জেলে। এটা মানতে পারছে না খেটে খাওয়া মানুষেরা। ধর্মতো আছেই। তাদের কথা কি করবে করুক পুলিশ। ভোট কেন্দ্রে যাব ভোট দিব। আমাদের ছেলে-মেয়েরাও ভোট দিবে। আমরা আমাদের রায় দিব। কেউই ঠেকাতে পারবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।