Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজশাহীর ৬টি নির্বাচনী এলাকার অর্ধেক কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

রাজশাহীর ৬টি নির্বাচনী এলাকার ৬৯৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৩৮৯টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরমধ্যে রাজশাহী মহানগর পুলিশের অধীনে ১৯৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৮৬টি ও জেলায় ৪৯৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২০৩টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ করা হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
আরএমপি আওতাধীন এলাকায় নির্বাচন কেন্দ্র ১৯৬টি। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বা গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রই ১৮৬টি। আরএমপির কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য মতে, ভোটের আগের দিন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন একজন এসআই বা এএসআইসহ মোট ১৭ জন নিরাপত্তাকর্মী।
এদের মধ্যে একজন এসআই বা এএসআই, চারজন কনস্টেবল এবং ১২জন আনসার সদস্য। আর সাধারণ কেন্দ্রগুলোর একজন কনস্টেবল কমিয়ে দায়িত্বে থাকবে ১৬ জন নিরাপত্তাকর্মী। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবারই প্রথম আনসার বাহিনীর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদান করা হচ্ছে।
এদিকে নির্বাচন কেন্দ্রের পাশাপাশি পুরো আরএমপি এলাকার নিরাপত্তার জন্য টহলে নিয়োজিত থাকবে ৫১টি মোবাইল টিম। এর বাইরে র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবহিনীর সদস্যরাও নিয়োজিত থাকবে আরএমপি এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে।
অপরদিকে রাজশাহী জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, জেলায় ৪৯৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২০৩টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তারা।
ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে এক জন এসআই ও এক জন কনস্টেবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে সাধারণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে এসআই দায়িত্বে নাও থাকতে পারে। সেগুলোতে দুই জন করে কনস্টেবল দায়িত্বের রাখা হবে। এছাড়াও নিরাপত্তার জন্য টহলে নিয়োজিত থাকবে মোবাইল টিম। এর বাইরে র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবহিনীর সদস্যরাও নিয়োজিত থাকবে আরএমপি এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে।
শহীদ হবো অথবা কারাবরণ করবো তবে নির্বাচনের শেষ দেখে ছাড়বো নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রধান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে তার শাস্তির দাবি করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী-২ আসনের প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনু। একই সঙ্গে শহীদ হবো অথবা কারাবরণ করবো তবে নির্বাচনের শেষ দেখে ছাড়বো। গতকাল বুধবার সকালে নগর বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন মিজানুর রহমান মিনু। সংবাদ সম্মেলনে মিনু ছাড়াও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও রাজশাহী-১ আসনের প্রার্থী ব্যারিস্টার আমিনুল হক এবং নগর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-৩ আসনের প্রার্থী শফিকুল হক মিলন বক্তব্য রাখেন।
মিনু বলেন, এখন পর্যন্ত রাজশাহী-২ আসনের ৫৯ জন বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্বাচনের আগেই তাদের নি:শর্ত মুক্তি দাবি করেন। রাজশাহীর মানুষের হৃদয়ের মধ্যে ধানের শীষ গেঁথে আছে। রাজশাহীর ছয়টিসহ সারাদেশে ২৫১টি আসনেই আমরা বিজয় অর্জন করবো। আগামী ৩০ ডিসেম্বর আমাদের সামনে দুইটি অপশন রয়েছে। জীবন দিয়ে শহীদ হবো নইলে কারাবরণ করবো। কিন্তু নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত দেখে ছাড়বো। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও রাজশাহী-১ আসনের প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক বলেন, প্রচার প্রচারণা চালানোর মত নির্বাচনের মাঠের পরিবেশ নেই। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে নিজেরাই পোড়াচ্ছেন। আর মামলা দিচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীর উপর। সে মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ নির্বাচনে এটি আওয়ামী লীগের নতুন কৌশল হিসেবে যুক্ত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট কামরুল মনির, জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু, নগরের সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচনী এলাকার অর্ধেক কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ