Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

যেভাবে রক্ষা পেলেন ধানের শীষের প্রার্থী জেনারেল (অব.) ইবরাহীম

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৮:৪৩ পিএম

দ্বিতীয়বারের মতো হামলার শিকার হলেন চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম। সন্ত্রাসী হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাতে গ্রামের একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন খেতাবপ্রাপ্ত এই মুক্তিযোদ্ধা। হামলায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন সমর্থক। ভাঙচুর করা হয়েছে তার প্রচারবহরে থাকা নয়টি গাড়ি। বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে হাটহাজারী উপজেলার ধলই ইউনিয়নের মনিয়াপুকুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম জানান, ধলই ইউনিয়নে গণসংযোগ শেষে গাড়িবহর নিয়ে তিনি ফিরছিলেন। তাদের গাড়ি মনিয়াপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আসার পর সেøাগান দিয়ে ২০-২২ জন যুবক গাড়িতে আক্রমণ করে। এ সময় তারা নির্বিচারে গাড়ি ভাঙচুর ও মারধর শুরু করলে তিনি গাড়ি থেকে নেমে যান। নেতা-কর্মীরা ইবরাহীমকে বিদ্যালয়ের পেছনে একটি বাড়িতে নিয়ে যান। তিনি ওই বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার খবর পেয়ে হামলাকারী যুবকরা সেখানে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। তবে ইবরাহীম যে কক্ষে আশ্রয় নিয়েছিলেন হামলাকারীরা সেটির সন্ধান না পাওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। হামলাকারীরা চলে যাবার পর তিনি আরেকটি গাড়িতে করে ওই এলাকা ত্যাগ করেন।
ইবরাহীম বলেন, ‘হামলার মুখে টিকতে না পেরে আমার নেতা-কর্মীরা সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আমি একটি ঘরে আশ্রয় নিয়ে প্রাণ রক্ষা করেছি। মাত্র ২০-২২ জন যুবকের তা-ব শেষ হওয়ার পর আমি ওই ঘর থেকে বেরিয়ে আরেক জায়গায় এসেছি। আমি নিরাপদ এবং সুস্থ আছি। তিনি বলেন, আমি পালানোর লোক নই, জনগণ আমার পক্ষে। শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে আছি।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, হামলার খবর প্রার্থী নিজে আমাদের ফোন করে জানিয়েছেন। খবর পাওয়ামাত্র বিজিবি ও পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। প্রার্থী লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেব। গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয় ১ নম্বর গেইট এলাকায় তার উপর হামলা হয়। তিনি অভিযোগ করেছেন, মহাজোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের পক্ষ হয়ে সরকারি দলের কর্মীরা এ হামলা করেছে। # র ই সেলিম ২৬/১২/১৮ইং

 



 

Show all comments
  • রিপন ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:১১ পিএম says : 0
    জনাব ইব্রাহিম, সাংগঠনিক দক্ষতাটিকে কাজে লাগিয়ে ঐক্যবদ্ধ জনযুদ্ধ গণফৌজ গঠনে মনোনিবেশ করছেন না কেন? জাতীয় মুক্তির জন্যে আরেকটি ঐক্যবদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজনীয়তাটি কবে অনুভব করবেন আপনারা সবাই? এই নির্বাচনের যে রকম-সকম, এ দিয়ে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসবে বলে অনুমিত হয় না। Morning shows the day. - adage.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ