বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নামে নির্বাচনী দুর্বৃত্তায়ন চলছে। আমি একজন প্রার্থী হিসেবে এই নির্বাচনী এলাকায় আমার নিরাপত্তা নেই। আমার নির্বাচনী এলাকায় যুবলীগ, ছাত্রলীগের ক্যাডাররা আমার বাড়ি চারপাশে বোমা ফাটিয়ে আতংক সৃষ্টি করছে। গত দুই দিন আগে আমাকে বহনকারী এবং সাথে থাকা আরেকটি গাড়িসহ মোট দুটি গাড়ি ভাংচুর করেছে আ’লীগের সন্ত্রাসীরা। এরপর আমি জেলা সকল দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরকে অবহিত করেছি এবং আমি জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি। এ অবস্থায় আমি আর গণসংযোগে যাব না। ঘটনার ৪৮ঘন্টা পরেও প্রশাসন থেকে আমি এর উত্তর পায়নি।
তিনি বলেন, আজ বুধবার আমার নির্বাচনী এলাকা কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সভা করার অনুমতি দিয়েও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসি আমাকে আবার বলেন ছাত্রলীগ সভা ডেকেছে এ কারণে উভয় পক্ষের সভা স্থগিত করা হয়েছে। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বাস্তব কথা হলো প্রশাসন এবং সরকার যোগসাজশে এ কর্মকান্ড চালাচ্ছে। আজ আমার সভা হওয়ার কথা ছিল। এ কারণে আ’লীগের ক্যাডাররা হেলমেট পরে রাস্তায় বোমা নিয়ে বসে আছে সভাস্থলে আসার সময় আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করার জন্য।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিষ্টার মওদুদ বলেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ এলাকায় কোম্পানীগঞ্জে ২৬টি মামলায় জড়িয়ে আমার নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। আসামী করা হয়েছে ৭৪৯ জন নেতাকর্মীকে। অজ্ঞাত আসামী করেছে ১৬৪৯ জনকে। আমার দলের মূল নেতা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারী মামলার ভয়ে পলাতক, পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদক, উপজেলা যুবদলের সভাপতি ও সম্পাদক, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সম্পাদকসহ ৭৮জন মূল নেতাকর্মী জেল খানায় আটক আছেন। এদেরকে হাইকোট থেকে জামিন করার পরও বেগমগঞ্জে পুরানো ২টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বিগত ২১ ঘন্টা আমার নির্বাচন এলাকা কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জে ১৫জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে। কি নিয়ে আমি নির্বাচন করব? অসংখ্য নেতাকর্মী এলাকা ছাড়া । সেনাবাহিনী এসেছে লাভ কি? সেনাবাহিনী থাকা অবস্থায় আমার ওপর হামলা হয়েছে। তারপরেও এ অবস্থায় আমি নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাব এবং শেষ দিন পর্যন্ত মাঠে থাকব।
তিনি গতকাল বুধবার বিকেলে ৪টায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের নিজ বাস ভবনে সংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান মোঃ নোমান, বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোমিনুল হক, পৌরসভা যুবদলের সভাপতি শওকত হোসেন সগির, উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আতোয়ার হোসেন পাভেল প্রমুখ।