বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়ায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশীল ঘোষনার গত মঙ্গলবার রাতের পুলিশী অভিযানে সর্বাধিক সংখ্যক ৭০ জনকে গ্রেফতার হয়েছে। জেলার ১২টি থানার মধ্যে ১১থানা পুলিশের অভিযানে ওই ৭০ জন গ্রেফতার হয়। এর মধ্যে অধিকাংশই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী। তাদের বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও নাশকতা মামলার আসামী হিসেবে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা দাবি করেছেন ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করতে পুলিশ এই গ্রেফতার অভিযান শুরু করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বুধবার দুপুরে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়ে শাজাহানপুর থানা ছাড়া অন্য ১১টি থানায় মোট ৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক গ্রেফতার করা হয়েছে শিবগঞ্জ থানায়। সেখানে বিভিন্ন অভিযোগে ২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপরই রয়েছে সদর থানা পুলিশের গ্রেফতারের সংখ্যা। তারা রাতের অভিযানে ২০ জনকে গ্রেফতার করে। এছাড়া গাবতলীতে ৪ জন, সারিয়াকান্দিতে ৫জন, সোনাতলায় ২জন, আদমদীঘিতে ১জন, দুপাঁচিয়ায় একজন, কাহালুতে ২জন, শেরপুরে ৬ জন, নন্দীগ্রামে ২জন ও ধুনটে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ও বগুড়া সদর থানার ওসি বদিউজ্জামান জানান, প্রত্যেককে সুনিদ্দিষ্ট মামলা ও অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হযেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অধিকাংশই বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও নাশকতা মামলার আসামী। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তারা।
তবে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না অভিযোগ করেছেন, ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করতেই পুলিশ এই অভিযান চালু করেছে। তারা মঙ্গলবার রাতে বগুড়া সদর ও শিবগঞ্জ থানা এলাকায় এতোটাই উগ্র আচরণ করেছে যা কল্পনাতীত। বুধবার বিকেলে বিএনপি মহাসচিব ও তাঁর নির্বাচনী জনসভাকে প- করতেই এই অভিযান বলে দাবি করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।