বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিক নীতিমালা জারি করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। এতে করে সাংবাদিকতা যেমন বাধাগ্রস্ত হবে, তেমনি গণতন্ত্রের বিকাশের পথেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। ইসিকে দ্রুত এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। পৃথক পৃথক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ দাবি জানান।
গতকাল মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিইউজে সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী এ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন সাংবাদিকদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে তা অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রত্যাশিত। এই সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনকেই প্রশ্নবিদ্ধ করবে। তারা বলেন, একদিকে নির্বাচনি সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের জন্য স্টিকার না দেয়া, অন্যদিকে একাধিক গণমাধ্যমকর্মীকে একসঙ্গে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত স্বাধীন সাংবাদিকতায় হস্তক্ষেপ। এটা কখনোই কাম্য নয়। ফলে সাংবাদিকতা যেমন বাধাগ্রস্ত হবে, তেমনি গণতন্ত্রের বিকাশের পথেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। সাংবাদিকদের সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতার লক্ষ্যে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে তাদের পূর্ব সিদ্ধান্ত বিবেচনার আহ্বান জানান। এছাড়া ঢাকার নবাবগঞ্জে সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
ডিআরইউর উদ্বেগ: সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের জন্য কোনো স্টিকার ইস্যু করা হবে না। নির্বাচন কমিশনের এই ধরনের নীতিমালায় উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি। সভাপতি ইলিয়াস হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান এ ঘোষণায় উদ্বেগ জানিয়ে এক বিবৃতিতে জানান, এতে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব বিঘ্ন ও ব্যাহত হবে। ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ নির্বাচনে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেলের অনুকূলে স্টিকার বরাদ্দের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জোর দাবি জানায়।
এদিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছে আইন সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম। ফোরামের সভাপতি সাঈদ আহমেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক হাসান জাবেদ এক বিবৃতিতে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, পেশাগত দায়িত্বপালনকালে সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হামলা সাংবাদিক সমাজকে আতঙ্কিত করে। এটা পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এর অবসানের জন্য রাষ্ট্র ও সরকারের দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত। পুলিশের কাজ হলো জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেখানে সঠিক সময়ে পুলিশের সহযোগীতা পাওয়া যায়নি। এটা কখনোই রাষ্ট্রের জন্য শুভ লক্ষণ নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।