বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের বাইক চলাচলের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়ে অবাধ চলাচলের দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। আর তাদের এ দাবির প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনও (ইসি) রাজি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে নির্বাচন ভবনে কমিশন সচিবের সঙ্গে দেখা করে একথা জানান দলের নির্বাচন পরিচালনা সদস্য নেতা মো. আখতারুজ্জামান। এসময় আওয়ামীলীগের ১১ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারলাম নির্বাচনে অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে সাংবাদিকদের বাইকও চলাচলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর বাইরে আমরা নির্বাচনের দিন যাতে সাংবাদিকরা বিনা বাধায় চলাচল করতে পারে তা নিশ্চিত করতে ইসিকে অনুরোধ করেছি। তারা বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করছেন যে এধরনের কোনো বাধা থাকবে না।
তিনি বলেন, কালো টাকা ছড়িয়ে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে যাতে বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্ট যাতে প্রভাবিত করতে না পাওে সেজন্য ইসির হস্তক্ষেপ চেয়েছে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, কালো টাকার ব্যবহার সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়। বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচন সামনে রেখে কালো টাকা ছড়ানোর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও মহাজোট নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলাও করছে। আমাদের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করছে, মিছিলে হামলা চালাচ্ছে। এ ধরণের সহিংসতা করে উল্টো ইসিতে এসে প্রতিদিন তারা অভিযোগও করছে। অথচ সত্য হচ্ছে, বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের ওপর হামলা করছে। এমনকি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপরও হামলা চালাচ্ছে। বিষয়গুলো আমরা কমিশনের কাছে উপস্থাপন করেছি।
কালো টাকা ছড়ানো ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের উপর হামলা করার বিষয়ে আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা-৮ আসনের মির্জা আব্বাসের দুই কর্মী কালো টাকা ছড়াতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে। আমরা এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। মৌলভীবাজারে সুলতান মোহম্মদ মনসুর একজন পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করেছেন।
ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি জোট নেতারা একবার বলছেন, ভোট করবো, মাঠ ছেড়ে যাবো না। একবার কমিশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন, আবার অসহযোগিতার প্রশ্ন তুলছেন। তারা আসলে বিচলিত অস্থির। নির্বাচনকে বানচাল করার, ক্ষতিগ্রস্ত করতে তারা অস্থিরতায় ভুগছে বলে তাদের কর্মকান্ডে প্রমাণিত হচ্ছে। ফোন নম্বর ক্লোনিং করে একটি চক্র বিভ্রান্তি ছড়াতে পারেন এমন আশঙ্কা জানিয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্য ও আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ফোন কলের জালিয়াতি করে নম্বর ক্লোন করে, ভুল তথ্য যেন না যায় এ বিষয়েও নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে। যাতে করে কোন নির্দেশনা যদি আসে, নম্বর সঠিক কিনা, ক্লোন করা হয়েছে কিনা তা যেন তারা নিশ্চিত হয়ে ব্যবস্থা নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।