Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আ.লীগ চায় ধরে রাখতে বিএনপি পুনরুদ্ধারে তৎপর

পাবনা-৩ আসন

চাটমোহর (পাবনা) থেকে আফতাব হোসেন | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

পাবনা-৩ আসনে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এমপি প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা। যদিও আ.লীগ, বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়া অন্য ২ প্রার্থীর কোন প্রচারণা চোখে পড়ছে না। পাবনা-৩ আসনটি চাটমোহর, ভাঙগুড়া ও ফরিদপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২ হাজার ৬৭৮ জন। এরমধ্যে চাটমোহর উপজেলায় ২ লাখ ১৫ হাজার ৯৩৬ জন, ভাঙগুড়া উপজেলায় ৯০ হাজার ৮০ জন এবং ফরিদপুর উপজেলায় ৯৬ হাজার ৬৬২ জন। এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।

এরা হলেন নৌকা প্রতীক নিয়ে আ.লীগের বর্তমান এমপি ও পাবনা জেলা আ.লীগের সহসভাপতি মো. মকবুল হোসেন, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সাবেক এমপি ও চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, সিংহ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী, জিয়া সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হাসানুল ইসলাম রাজা, পাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আ. মুতালিব মাস্টার ও কবুতর প্রতীক নিয়ে গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল আলম।

এদের মধ্যে নৌকা, ধানের শীষ ও সিংহ প্রতীকের প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা প্রচারণা চালালেও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে এখনও কোন উৎসাহ-উদ্দীপনা নেই। বরং কিছুটা আতংক রয়েছে। অনেক গ্রামে কোন প্রার্থীর পক্ষেই ভোট চাওয়া হয়নি। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ মোঃ মকবুল হোসেন এবার ৪র্থবারের মতো দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। ২০০১ সালে তিনি বিএনপি প্রার্থীকে এম আনোয়ারুল ইসলামের নিকট পরাজিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে বিএনপি প্রার্থী সাইফুল আজম সুজাকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে অনেকটা বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় ফের এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এবারও তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে তাকে এবার দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য দাবি তোলেন আ.লীগের নেতা-কর্মীদের একাংশ। কিন্তু মনোনয়ন পাওয়ার পর অধিকাংশ নেতা-কর্মী এখন নৌকার পক্ষে মাঠে নেমেছেন। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী কে এম আনোয়ারুল ইসলাম দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর বিএনপির একটি অংশ নীরব অবস্থান গ্রহণ করেন।
এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাসানুল ইসলাম রাজা নির্বাচনী মাঠে নামায়, তাকে বন্ধুর পথ অতিক্রম করতে হবে। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসানুল ইসলাম রাজা নির্বাচনী মাঠে বেশ সরব। আ.লীগের নেতা-কর্মীরা তাদের বিজয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে একাট্টা আর বিএনপি চায় তাদের হারানো আসন পুনরুদ্ধার করতে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ