বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মো. আব্দুল হাই সরকার। বয়স ৭৩ বছর। ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী) চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ। এবারের আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী - ৪ (সৈয়দপুর - কিশোরগঞ্জ) আসনে এনপিপি মনোনীত ও এনডিএফ সমর্থিত সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছেন তিনি। নীলফামারী - ৪ আসনে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৫ প্রার্থীর একজন তিনি।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা সকলেই দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক, আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ করছেন। কাটছেন ভীষণ ব্যস্ত সময়। এ সব প্রার্থীদের দলীয় প্রধান ও প্রতীক সংবলিত পোষ্টার শোভা পাচ্ছে নির্বাচনী এলাকার সর্বত্র। তবে একেবারে ব্যতিক্রম সংসদ সদস্য প্রার্থী মো. আব্দুল হাই সরকার। অন্যান্য বারের মতো এবারেও তিনি নীলফামারী - ৪ আসন থেকে দলীয় মনোনীত ও এনডিএফ সমর্থিত প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর প্রতীক আম। তিনি মনোনয়নপত্র জমা করে পাড়ি জমান রাজধানী ঢাকায়। কারণ তাঁর বাড়ি নীলফামারীর ডিমলায় হলেও তিনি বছরের বেশিভাগ সময়ই কাটেন ঢাকায়। তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ ভাসানী) চেয়ারম্যান। দলীয় কাজকর্মের জন্য তাকে থাকতে হয় সেখানে (ঢাকা)। গত ২/৩ দিন আগে তিনি নির্বাচনী এলাকায় আসেন। শুরু করেন গণসংযোগ। তবে তাঁর সঙ্গে দলীয় কোন নেতাকর্মী ও সমর্থক নেই। সঙ্গে নেই পরিবারের কোন সদস্যও। দিনরাত তিনি একাই গণসংযোগ করে চলেছেন।
গত সোমবার রাতে সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হাই সরকারকে গণসংযোগ করতে দেখা যায় সৈয়দপুর শহরের শেরে বাংলা সড়কে (সিনেমা রোড)। ছোট একটি ব্যাগ তাঁর হাতে। তাতে রয়েছে তাঁর নির্বাচনী লিফলেট। শহরের জনবহুল ওই সড়ক ধরে তিনি দোকানে দোকানে তাঁর নির্বাচনী লিফলেট বিলি করছেন। ভোটার সঙ্গে করমর্দন করাসহ ভালমন্দ জিজ্ঞাসা করছেন। সেই সঙ্গে তিনি তাঁর আম প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন। ভোটারদের বলছেন তিনি নির্বাচিত হলে কি কি করবেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কথা হয় সংসদ সদস্য প্রার্থী মো. আব্দুল হাই সরকারের সঙ্গে। তিনি জানান, সাবেক মন্ত্রী মশিউর রহমান যাদুমিয়ার হাতে রাজনীতিতে হাতেখড়ি তাঁর। এর আগে তিনি তিনবার জাতীয় সংসদ সদস্য এবং একবার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে নীলফামারী - ১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে দুইবার, নীলফামারী - ২ (সদর) আসনে একবার সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন। আর একবার ডিমলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। কিন্তু কোন বারই তিনি নির্বাচনে জয় পাননি। তিনি নির্বাচিত হলে সৈয়দপুরকে উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়িক রাজধানী ঘোষণা করা, এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের ব্যাপক কর্মসংস্থানের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে অন্যান্যবারের মতো ভোটারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ, উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ভোটারদের মধ্যে শুধুমাত্র নানা রকম জল্পনা-কল্পনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।