রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
যশোর-১ (শার্শা) আসনের শার্শা উপজেলায় নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে আ.লীগের প্রচার-প্রচারণা। পুলিশের আকস্মিক গ্রেফতার অভিযানে আত্মগোপনে যেতে শুরু করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। তবে গতকাল সোমবার দুপুরে বেনাপোলে পুলিশ ও বিজিবির প্রহরায় বিএনপির প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তি তার দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে মিছিল ও গণসংযোগ করেছেন।
ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্নস্থানে আকস্মিক অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ২৫ কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ আসনে আ.লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য যশোর জেলা সহ-সভাপতি শেখ আফিল উদ্দিন নেতাকর্মীদের দলীয় অন্তর্কোন্দল মিটিয়ে শার্শা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে নৌকা পক্ষে গণসংযোগ করে চলেছেন। ইতোমধ্যে তিনি ১১টি ইউনিয়নে গণসংযোগ কর্মসূচি ও পথসভা করেছেন এবং ওই সব ইউনিয়নগুলোতে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শার্শা উপজেলার আ.লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলছেন, প্রচারের প্রথম দিকে কিছু দলীয় সমস্যার কারণে কর্মী-সমর্থকরা প্রচারে নামেনি। ইনশাল্লাহ এখন দলের নেতাকর্মীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটিয়ে সবাইকে নিয়ে গণসংযোগ করায় সবার মধ্যে উৎসাহ বিরাজ করছে এবং আ.লীগের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
অপর দিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি মফিকুল হাসান তৃপ্তি। তিনি প্রতীক পাওয়ার পর শার্শা উপজেলাস্থ তার নিজ বাড়িতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনা করে দলীয় কোন্দল মিটিয়ে ১১ টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ৩টি ইউনিয়নে পথসভা ও গণসংযোগের কর্মসূচি করেন। ইতোমধ্যে তিনি ডিহি, নিজামপুর ও লক্ষনপুর ইউনিয়নে গণসংযোগ করলেও হঠাৎ করে গতকাল সোমবার পুলিশ ও বিজিবির পাহারায় বেনাপোলে আকস্মিক মিছিল ও গণসংযোগ করেছেন। ইতোমধ্যে শার্শা ও বেনাপোল থানায় ২৫ জন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী গ্রেফতার হওয়ায় হওয়ার পর সিনিয়র নেতারা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে গেছে।
এ বিষয়ে বিএনপির প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, নির্বাচনে আমি এবং আমার বিএনপির নেতা কর্মীদের গণসংযোগ করতে দিচ্ছে না। তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকী দিচ্ছে ভোট কেন্দ্র না যেতে। সারাদেশে বিএনপির গণজোয়ার দেখে আ.লীগ দিশাহারা হয়ে পড়েছে তাই আজ তারা আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
গ্রেফতারের বিষয়ে শার্শা থানা ওসি মশিউর রহমান বলেন, এটা আমাদের রুটিন ওয়ার্ক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে এই অভিযান। তবে কোন নিরিহ লোকজনদের নামে মামলা বা আটক করা হচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।