বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহীতে নেতাকর্মীদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি প্রার্থীরা। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের সাথে সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান বিএনপি প্রার্থীরা। বিএনপি নেতারা তাদের নির্বাচনী এলাকায় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের হয়রানি, মিথ্যা মামলা, ও আটকের কথা বলেন। তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এসব হয়রানি বন্ধের দাবি জানান। এসময় রাজশাহী-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনু বলেন, সাবেক মেয়র বুলবুলের বাড়ি সাদা পোষাকের পুলিশ ঘিরে রেখে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হচ্ছে।
রাজশাহী-১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ছেলে ও তাঁর নির্বাচন সমন্বয়ক ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, গত তিন-চার দিন ধরে আমাদের এলাকায় প্রতিদ্বণ্দ্বি নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে। কোথাও পোস্টারও রাখতে দিচ্ছে না। নির্বাচনী অফিসগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। গণগ্রেফতার করছে পুলিশ। আবার আমরা পথসভা করতে গেলেও প্রতিপক্ষের লোকজন নানাভাবে বাধা দিচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ হওয়া দরকার। রাজশাহী-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থী শফিকুল হক মিলন বলেন, আমার এলাকায় প্রতিদ্ব›িদ্ব নৌকা প্রার্থীর লোকজন ও প্রশাসন যেন ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে। চলছে গণগ্রেফতার। আমার নেতাকর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এসব দ্রুত বন্ধ হওয়া দরকার।
রাজশাহী-৪ আসনের বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থী আবু হেনা অভিযোগ করে বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বের আমার প্রচারণায় হামলা করেছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোক ও জেএমবি ক্যাডার আব্দুস সালাম। এছাড়া আমাদের নেতাকর্মীকে আটকের জন্য ৫ মাস আগেই তালিক করেছে ওসি। এতো বড় সাহস তার হলো কি করে? আমি ওসি নাছিম আহমেদ ও সহকারী পুলিশ কমিশনার সুমন দেবের দ্রুত অপসারণ চাই।
রাজশাহী-৬ আসনের ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আব্দুস সালাম অভিযোগ করে বলেন, আমাকেও এলাকায় পোস্টার টাঙ্গাতে দিচ্ছে না নৌকা প্রার্থীর লোকজন। এমনকি মাইকিংও করতে দেওয়া হচ্ছে না। এই পরিবেশ বন্ধ করার দরকার।
রাজশাহীর এই আসন নিয়ে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু অভিযোগ করে বলেন, রাজশাহী-৬ আসনে বিএনপি প্রার্থী নাই। তিনি কারাগারে আছেন। তার প্রার্থীতা স্থগিত করেছেন আদালত। কিন্তু তার পরিবারের লোকজনকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। পরিবারের ওপর এমন নির্যাতন কাম্য নয়। এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার। নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সবাই যে যার মতো অবস্থান করবে। কাজেই প্রতিহিংসা সৃষ্টি করে মানুষের মাঝে সহঅবস্থান নষ্ট করা থেকে সরে আসা উচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।