Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় সুনামি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

সন্ধ্যা মাত্র শুরু হয়েছে। নরওয়ের আলোকচিত্রী ওইস্টিন লুন্ড অ্যান্ডারসন পশ্চিম জাভার আনিয়ার সৈকতে ছিলেন। তিনি আগ্নেয়গিরির ছবি তোলার কাজ করেন। পরিবারকে ঘুমে রেখে ক্রাকোটা আগ্নেয়গিরির ছবি তোলার চেষ্টা করছিলেন তখন। এমন সময় সৈকতে আঘাত হানে সুনামি। শনিবার ইন্দোনেশিয়ার সান্দা স্ট্রেইট উপকূলে সুনামির আঘাতে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও পাঁচ শতাধিক। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ সুনামি কোনও ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্টি হয়নি। ভূ-গর্ভস্থ ভূমিধসের কারণে হয়েছে। লামপাংয়ের মাউন্ট ক্রাকাতোয়া দ্বীপের আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের প্রভাব থেকে এ ভূমিধসের উৎপত্তি হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এই আলোকচিত্রী তার চোখে ধরা পড়া সুনামির বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি সৈকতে ছিলাম। একা। আমার পরিবার একটি কক্ষে ঘুমাচ্ছিল। আমি ক্রাকোটা আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাতের ছবি তোলার চেষ্টা করছিলাম। সন্ধ্যা শুরু হয়েছে মাত্র। আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। কিন্তু ঢেউ সৈকতে আঘাত হানার আগ মুহূর্তে কোনও অগ্ন্যুৎপাত ছিল না। চারদিক অন্ধকার হয়ে যায়। এবং হঠাৎ আমি দেখতে পাই ঢেউ আসছে। আমি দৌড় শুরু করি। দুটি ঢেউ আঘাত হানে। প্রথম ঢেউয়ের আঘাতটি খুব শক্তিশালী ছিল না। আমি দৌড়ে সরে আসি। সোজা হোটেলে চলে আসি। এখানে আমার স্ত্রী ও ছেলে ঘুমে রয়েছে। আমি তাদের ঘুম থেকে তুলি। শুনতে পাই বড় আরেকটি ঢেউয়ের গর্জন। জানালার দিকে তাকাতেই দ্বিতীয় ঢেউটি আঘাত হানে। এটা ছিল অনেক বড়। ঢেউটি হোটেল অতিক্রম করে যায়। রাস্তায় থাকা গাড়িগুলো এলেমেলো হয়ে সরে গেছে। আমরা ও হোটেলের অন্যান্য মানুষেরা দৌড়ে জঙ্গলে (উঁচু স্থানে) চলে যাই। আমরা এখনও সেখানে রয়েছি। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ