বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অবশেষে প্রার্থিতা বহালই থাকছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা জামায়াতে ইসলামীর ২৫ নেতার। আইন অনুযায়ী তাদের প্রার্থিতা বাতিলের সুযোগ না থাকায় বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে উচ্চ আদালতের আদেশে যেসব বিএনপি প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে, তাদের আসনগুলোতে পুনঃতফসিল করে নতুন করে নির্বাচন আয়োজন বা প্রার্থী পরিবর্তনের সুযোগ না দেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশন বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। রাতে নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব জানান, কমিশন সভায় জামায়াতের ২৫ প্রার্থীর প্রার্থিতা বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আদেশ বিশ্লেষণ করে কমিশন দেখেছে, বিদ্যমান আইনে এসব প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করার কোনো সুযোগ নেই। ফলে এই ২৫ জামায়াত নেতার প্রার্থিতা বহাল থাকছে। উচ্চ আদালতের রায়ে বিএনপি নেতাদের প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্ত জানিয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, উচ্চ আদালতের আদেশে যেসব বিএনপি প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে, সেসব আসনে প্রার্থী পরিবর্তন বা পুনঃতফসিলের দাবি জানিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু আদালতের আদেশ ও বিএনপির দাবি চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কমিশন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, উচ্চ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে পুনঃতফসিল বা প্রার্থী পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। ওইসব আসনে যারা বর্তমানে বৈধ প্রার্থী রয়েছেন, তাদের বাইরে নতুন করে কাউকে প্রার্থিতা দেয়া যাবে না।
বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়া জামায়াত নেতাদের পদপদবী তাদের দলীয় ওয়েবসাইটে উল্লেখ আছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, ওয়েবসাইটে পদ-পদবি থাকুক। আপনারাও যদি আমাদের কাছে মনোনয়ন চান, আমরা দিতে পারি।এরা বিএনপির প্রার্থী। জামায়াতের প্রার্থী নেই। কোনো ওয়েবসাইটে আপনার নাম কিভাবে আছে সেটা পরের ব্যাপার। আমরা আইনের মাধ্যমে দিতে পারি কিনা সেটা হলো বিষয়। জামায়াত কোনো নিবন্ধিত দল নয়। কারা কারা জামায়াত করে সেই তালিকাও আমাদের কাছে নাই। আমরা যাদের মনোনয়ন দিয়েছি, তারা আমাদের দলের প্রতীক ধানের শীষ পেয়েছে।
উল্লেখ্য ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ২২ নেতাকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। এছাড়া, বাকি তিনজন জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। জামায়াত প্রার্থীরা হলেন, দিনাজপুর-১ মোহাম্মদ হানিফ, দিনাজপুর-৬ মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-২ মনিরুজ্জামান মন্টু, নীলফামারী-৩ মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, গাইবান্ধা-১ মাজেদুর রহমান সরকার, সিরাজগঞ্জ-৪ মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান,পাবনা-৫ মাওলানা ইকবাল হুসাইন, ঝিনাইদহ-৩ অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, যশোর-২ আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, বাগেরহাট-৩ অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ,বাগেরহাট-৪ অধ্যাপক আবদুল আলীম, খুলনা-৫ অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার,খুলনা-৬ মাওলানা আবুল কালাম আযাদ, সাতক্ষীরা-২ মুহাদ্দিস আবদুল খালেক,সাতক্ষীরা-৩ মুফতি রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-১ শামীম সাঈদী, ঢাকা-১৫ ডা. শফিকুর রহমান, সিলেট-৬ মাওলানা হাবিবুর রহমান, কুমিল্লা-১১ ডা. আবদুল্লাহ মো. তাহের, চট্টগ্রাম ১৫ আ ন ম শামসুল ইসলাম ওকক্সবাজার-২ হামিদুর রহমান আযাদ। চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে ২০১৩ সালে হাইকোর্টের রায়ে দলটির নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।