বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আসন্ন জাতীয় একাদশ নির্বাচনের বাকিমাত্র ৬দিনের মতো । সরগরম নির্বাচনী মাঠ। আর ধানে শীষের জনজুয়ার যখন তুংগে। তখন উপজেলার ধানের শীষের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশের তল্লাসী। অপরদিকে নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই যেন পুলিমকে সাথে নিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীর। নির্বাচনী আমেজের পরিবর্তে বিরোধী শিবিরে চলছে গ্রেফতার আতঙ্ক । শুধু পুলিশ বাহিনীর গ্রেফতার আতঙ্কই না বিভিন্ন জায়গার একাধিক ধানের শীষের নির্বাচনী অফিস পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
এতে করে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে সাধারণ ভোটারেরা ফুসে উঠছে । সেই সাথে ছড়িয়ে পড়ছে চরম আতঙ্ক । তারাই ধানের শীষের নির্বাচনী অফিস পুড়িয়ে উল্টো বিরোধীদের নামে দেয়া হচ্ছে মামলা। আর এমন মামলা পেয়ে থানার ওসি গ্রেফতারে মেতে উঠেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
যদিও সিইসি বলছে ওয়ারেন্ট ছাড়া কোন ভাবেই গ্রেফতার করা যাবেনা। কিন্তু থানার ওসি নৌকাকে বিজয়ী করতে শুরু করেছেন গ্রেফতার আতঙ্ক। ফলে নির্বাচনী উৎসবের পরিবর্তে উপজেলার সব খানেই চলছে ভীতিকর পরিস্থিতি বলে একাধিক সাধারণ ভোটারেরা নিশ্চিত করেন ।
জানা গেছে শুক্রবার দিবাগত রাতে যুবলীগের উপজেলা সভাপতি সাংসদ ভাতিজার নির্দেশে তাঁর কলমা ইউপি এলাকার আজিজপুর মোড়ে ধানের শীষের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরসহ তিন চারটি দোকানের মালামাল লুট করা হয়। এছাড়াও পাচন্দর ইউপি এলাকার বানিয়াল , ইলামদহী, চাদপুর, কোয়েলহাট এলাকার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে চরম তাণ্ডব চালায় নৌকার সমর্থকরা ।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী জানান, গত বৃহস্পতিবারে কলমা ইউপি এলাকায় প্রচার মাইকসহ বিল্লিবাজারে জিয়া পরিষদের দরজা জানালা ভেঙ্গে তছনছ করে ফেলে। কলমা ইউপির প্রতিটি অফিস ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবারে আজিজপুর মোড়ের অফিসসহ কর্মীদের দোকান ভেঙ্গে লুটপাট করে উল্টো আমিসহ ৩০জনের নামে মামলা দেয়া হয়েছে। সে মামলায় একজন কর্মীকে আটক পর্যন্ত করা হয়েছে। জনসমর্থন হারিয়ে সাধারন ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতেই প্রচারনা কার্যালয় ভাঙচুরসহ নানা ধরনের হুমকি দিয়েই যাচ্ছেন ।
এদিকে উপজেলার কালনাগ্রামে ধানের শীষের প্রচারণা অফিস তুলে না নিলে পুলিশে দেয়া হবে বলে বাড়িবাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছেন ইউপি আ”লীগের সাধারন সম্পাদক রবিউল ও কালনা প্রাথমিক স্কুলের নৈশ প্রহরী শাফিউল । এসব বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ইউএনও চৌধুরী মোঃ গোলাম রাব্বীকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন এসব বিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি । তাঁরপরেও বিষয়গুলি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
এই প্র্রতিবেদককে মোবাইলে একাধিক সাধারন ভোটারেরা জানান, ধানের শীষের গণজোয়ার দেখে তাদেরকে মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে পুলিশ প্রশাসনকে বে আইনি ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব করে সাময়িক আতঙ্ক ছড়ানো যায় কিন্তু ভোটারদের মন জয় করা যায় । এমপি ফারুক চৌধুরী অনেক কাজ করেছেন সেসব বার্তা নিয়ে ভোটারের মাঝে যাওয়া উচিত তাদের। সেটা না করে ভোটারদের ফুসিয়ে তুলতে ভাঙচুর করা হচ্ছে। এতে করে তাদের ভোট কমছে ।
অপর দিকে এসব করার কারনে ধানের শীষের ভোট বাড়ছে । ভোটের মাঠে সবাই প্রচার প্রচারনা করবে যাকে পছন্দ হবে তাকে ভোট দিবে। জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী দলের উপজেলা সভাপতি আব্দুল মালেক জানান আমাদেরকে আত্মগোপনে রেখে ক্ষমতাসীনরা মনে করছে ফাকা মাঠে গোল করব ।
যদি তাঁরা এমনটি ভেবে থাকেন তাহলে বোকার রাজ্যে বাস করছেন । তাঁরা পুলিশ দিয়ে যত গ্রেফতার করবে যত নির্বাচনী অফিস ভাঙ্গাসহ পোস্টার ছিড়বে ততই ধানের শীষের ভোট বাড়বে । ধানের শীষের গণজোয়ারে বেশামাল হয়ে পড়েছে তাঁরা।
এ নিয়ে তানোর থানার বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান জানান, তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম আওয়ামী লীগের কর্মী হিসাবে কাজ করছে। তাকে প্রত্যাহারের জন্য নির্বাচন কমিশনারকে অনুরোধ জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।