বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশাল বিভাগীয় সদর আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীর প্রচার-প্রচারনায় বাধা দেয়া হচ্ছে। একের পর এক নেতা-কর্মী গ্রেফ্তারের ফলে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারনায় মাঠে কোন কর্মী থাকতে পারছেনা। গন গ্রেফ্তারের আতংকে বিরোধী দলীয় কর্মীরা এখন এলাকা ছাড়া। এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারকে লিখিতভাবে জানিয়েও কোন ফল হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন বরিশাল-৫ আসনের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সারোয়ার। রবিবার দুপর ১২টার দিকে বরিশাল প্রেস ক্লাবে এক জনাকির্ণ সাংবাদিক তিনি আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ধরনরে অভিযোগ করেন।
সারোয়ার বলেন, গত শুক্রবার সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন বাজারে ধানের শিষের উঠান বৈঠকের মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে পুলিশ প্রহড়ায় সন্ত্রাশীরা। এমনকি ঐ সভায় তাকে যোগদিতে পর্যন্ত দেয়া হয়নি। নেহালগঞ্জ ফেরি আটকে রাখা হয়েছে। সব নৌকা ও ট্রলার পর্যন্ত আটকে রাখে সন্ত্রাশীরা। বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা প্রশাসক ও রিটার্ণিং অফিসারকে অবহিত করার পরেও কোন ফল হয়নি বলে জানান সারোয়ার। এপর্যন্ত শুধুমাত্র বরিশাল সদর আসনে এলাকার প্রায় ৭০জন কর্মীকে নানা ধরনের গায়েবী মামলায় গ্রেফ্তার করা হয়েছে। সারোয়ার অভিযোগ করেন, মহাজোটের লোকেরা নিজেদের অফিস ভাংচুর করে মামলা দিচ্ছে বিএনপির কর্মীদের বিরুদ্ধে। তিনি প্রশ্ন করেন যেখানে বিএনপি’র কর্মীরা গ্রেফ্তারের ভয়ে এলাকা ছাড়া, সেখানে তারা সরকারী দলের অফিস ভাঙবে কিভাবে ?
সংবাদ সম্মেলনে সারোয়ার বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কত ভাল কথা বলছেন, কিন্তু তিনি কি মাঠের খবর রাখেন ? সারোায়ার বলেন গত ৩০জুলাই বরিশাল সিটি নির্বাচনে যেসব সরকারী কর্মকর্তারা ভোট ডাকাতিতে সহায়তা করছে, তারাই এবার জাতীয় নির্বাচন পরিচলনা করছে। তাদের দিয়ে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। সারোয়ার অবিলম্বে মাঠ পর্যায়ে নেতা কর্মীদের গ্রেফ্তার সহ সব ধরনের হয়রানী বন্ধের দাবী জানানোর পাশাপাশি সব প্রার্থীর জন্য প্রচারের সমান সুযোগেরও নিশ্চয়তা দাবী করেন। ৩০ডিসেম্বরের নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে কিনা জানাতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কর্মীরাই বাড়ীতে ঘুমাতে পারছে না। সারোয়ার প্রশ্ন করেন দেশ নাকি উন্নয়নের মহাসড়কে আছে, তাহলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের ভয় কিসের? তিনি সেনা বাহিনী মাঠে নামলে পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তনেরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের লড়াইয়ে থাকা না থাকার বিষয়টি কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভশীল বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন সাংবাদিকেদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, এপর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলা থেকে বিএনপি ও অংগ সংগঠনসমুহের প্রায় তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।