Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোলায় অবরুদ্ধ বিএনপি প্রার্থীরা, মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন আ.লীগ প্রার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:১১ পিএম

ভোলার তিন আসনে অবরুদ্ধ বিএনপি প্রার্থীরা, মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন অা'লীগ প্রার্থীরা। ভোলা ৪টি আসন ঘুরে দেখা যায় আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভোলার নির্বাচনী মাঠ। ভোলার চারটি আসনেই আ’লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা প্রকাশ্য নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা, গণসংযোগ চালিয়ে গেলেও ভোলা-১ (সদর) আসনের ঐক্যফন্টের মনোনীত প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীর ছাড়া অন্য তিনটি আসনের ঐক্যফন্টের মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থীরা নিজের বাসায় অবরুদ্ধ থাকায় নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা, পোস্টার লাতে পারছেনা, মাইকিং ও গণসংযোগ করতে পড়ছেন না বলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযোগ করেছেন ওই সকল এ অাসনের অাওয়ামী লীগের প্রার্থী হলে বানিজ্যমন্ত্রী অালহাজ্ব তোফায়েল অাহমেদ এমপি। তিনি এলাকায় দলমতের উর্দ্বে উঠে এলাকার উন্নয়ন করেছেন।তিনি বলেন বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধী হওয়ায় জনগন তাদের ঘৃনা ও প্রত্যাখান করছে।কেউ তাদের বাধা দিচ্ছেনা।নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
ঐক্যফন্টের মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থীরা নিজেরে বাসায় অবরুদ্ধ রয়েছেন ভোলা-২ আসনের প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহীম, ভোলা-৩(লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের প্রার্থী মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদ বীর বিক্রম পৃথক পৃথক ভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করেন। এছাড়া ভোলা-৪ আসনের ঐক্যফন্টের মনোনীত প্রার্থী নাজিম উদ্দিন আলমও নিজ বাসায় অবরুদ্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, তাকে নিজে বাসায় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তিনি নির্বাচনী প্রচারণার জন্য এলাকায় আসলে তাকে লঞ্চ থেকে নামতে বাধাঁ দেয় এবং আ‘লীগ নেতা কর্মীরা হামলা করে তার বহু নেতা কর্মীকে আহত করেছে, বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে।তিনি আসার পর দুটি মামলায় বিএনপির ৭ শতাধিক নেতা কর্মীকে আসামী করে তার বহু নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আতংকে বিএনপি নেতা কর্মীরা এলাকা ছাড়া।
ডিসি, এসপি, ওসি সহ প্রশাসনের নিকট ২৪ টি অভিযোগ দিলেও তিনি কোন সহযোগীতা পাননি বলে অভিযোগ করেন।বর্তমানে তিনি বাসায় অবরুদ্ধ থাকা প্রচারণায় বের হতে পারছেন না। অন্যদিকে অাওয়ামীলীগ প্রার্থী অালী অাযম মুকুল এমপি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান হাফিজ ইব্রাহীম বিগত প্রায় ১০ বছর এলাকায় অাসেন নাই। ২০০১ সালে ক্ষমতায় থাকা কালীন অা'লীগ সহ তার দলের লোকজনও তার নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পায় নাই।তারাই তাকে প্রতিরোধ ও প্রত্যাখ্যান করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে মেজর হাফিজ অভিযোগ করেন, তিনি ঢাকা থেকে লালমোহনের উদ্দেশ্য রওয়ানা হওয়ার পর সদর ঘাটে তার বহন করা লঞ্চে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা করে। পরে তিনি যাত্রা বিরতি করে পরে পুলিশী পাহাড়ায় পুনরায় এলাকায় আসেন।তাকে ৪০ হাজার বিএনপির নেতা কর্মীরা অভ্যর্থনা জানিয়ে নেতা কর্মীরা বাড়ি ফিরার পথে আ‘লীগের নেতা কর্মীদের হামলায় শতাধিক নেতা কর্মী আহত হয়। বাড়ি ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়। মিথ্যা মামলায় তার অনেক নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।এখনো বিএনপির নেতা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকী দেয়া হয়। তিনি বাসায় অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।কোথাও কোন প্রচারণায় যেতে পারছেন না।তার নেতা কর্মীদের উপর এখনো হামলা অব্যাহত আছে। কোন মামলা ওয়ারেন্ট না থাকা সত্বেও তার কর্মীদের ঢালাও গ্রেফতার করছে পুলিশ। অন্যদিকে অ্ওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি সংবাদ সম্মেলন করে জানান তার প্রতিধন্ধি প্রার্থী মেজর হাফিজ ২০০১ সালে এলাকায় যে নির্যাতন অত্যাচার করেছে তার প্রতিফল পাচ্ছেন তিনি। যারা নির্যাতিত তারাই তাকে প্রতিরোধ করছেন। বরং তিনি এলাকায় শান্তিপূর্ন ভাবে নির্বাচনী প্রচার করছিলাম।কিন্ত মেজর হাফিজ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে এলাকায় এসেই সন্ত্রাসী কাজ শুরু করে দিয়েছেন।তিনি নির্বাচন করতে অাসেন নাই তিনি এসেছেন মানুষ খুন করতে।

ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নাজিম উদ্দীন আলম অভিযোগ করেন তিনি এলাকায় ফিরে মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন থেকে তার নেতা কর্মীরা বাসায় ফিরার পথে আ‘লীগ নেতা কর্মীদের হামলার কবলে পড়লে বহু নেতা কর্মী আহত হয়। তার বাসা ভাংচুর করে তছনছ করে আ‘লীগ নেতা কর্মীরা। তার প্রচারোর মাইক ভাংচুর করা হয়। তিনি গণসংযোগে বাহির হলে তাকে বাধাঁ দেয়া হয়।তিনি কোথাও যেতে পারছেন না। বাসায় অবরুদ্ধ হয়ে আছেন বলেও অভিযোগ করেন। এ অাসনের অা'লীগ প্রার্থী উপমন্ত্রী অাবদুল্লাহ অাল ইসলাম জ্যাকব বলেন বিএনপি প্রার্থী নাজিম উদ্দিন অালম বহিরাগত। তার এলাকায় কোন অবস্থানই নেই।তাছাড়া সে এলাকায় কোন উন্নয়নমুলক কাজ করতে পারে নাই। অামি এলাকায় অনেক উন্নয়ন করেছি। উন্নয়নের স্বার্থে নৌকা মার্কার প্রার্থীরা অাজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ব ও গনজোয়ারে ভাসছে।অামাদের বিজয় সুনিশ্চিত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ