Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

পাবনা-৩ আসনে আ.লীগ চায় তার দুর্গ ধরে রাখতে বিএনপি পুনরুদ্ধারে তৎপর

চাটমোহর (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৯:৪৫ এএম

পাবনা-৩ আসনে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী-সমর্থকরা। যদিও আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়া অন্য ২ প্রার্থীর কোন প্রচারণা চোখে পড়ছে না। পাবনা-৩ আসনটি চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২ হাজার ৬৭৮জন। এরমধ্যে চাটমোহর উপজেলায় ২ লাখ ১৫ হাজার ৯৩৬ জন, ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ৯০ হাজার ৮০ জন এবং ফরিদপুর উপজেলায় ৯৬ হাজার ৬৬২ জন। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মোট ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. মকবুল হোসেন, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সাবেক সাংসদ ও চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, সিংহ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী, জিয়া সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হাসানুল ইসলাম রাজা, পাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ আঃ মুতালিব মাস্টার ও কবুতর প্রতীক নিয়ে গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল আলম। এদের মধ্যে নৌকা, ধানের শীষ ও সিংহ প্রতীকের প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী-সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করলেও কবুতর ও পাখা প্রতীকের কোন প্রচারণা নেই। প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা প্রচারণা চালালেও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে এখনও কোন উৎসাহ-উদ্দীপনা নেই। বরং কিছুটা আতংক রয়েছে। অনেক গ্রামে কোন প্রার্থীর পক্ষেই ভোট চাওয়া হয়নি। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ মকবুল হোসেন এবার ৪র্থবারের মতো দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। ২০০১ সালে তিনি বিএনপি প্রার্থী কে এম আনোয়ারুল ইসলামের নিকট পরাজিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে বিএনপি প্রার্থী সাইফুল আজম সুজাকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে অনেকটা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। এবারও তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে তাঁকে এবার দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য দাবি তোলেন আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের একাংশ। কিন্তু মনোনয়ন পাওয়ার পর অধিকাংশ নেতা-কর্মী এখন নৌকার পক্ষে মাঠে নেমেছেন। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী কে এম আনোয়ারুল ইসলাম দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর বিএনপির একটি অংশ নীরব অবস্থান গ্রহণ করেন। এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাসানুল ইসলাম রাজা নির্বাচনী মাঠে নামায়, তাঁকে বন্ধুর পথ অতিক্রম করতে হবে। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসানুল ইসলাম রাজা নির্বাচনী মাঠে বেশ সরব। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাদের বিজয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে একাট্টা আর বিএনপি চায় তাদের হারানো আসন পুনরুদ্ধার করতে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ