Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চৌদ্দগ্রামে স্বামী মুজিবুল হকের পক্ষে ভোট চাইলেন স্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৯:৩৮ পিএম

রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হকের পাশে থেকে আপনাদের চৌদ্দগ্রামকে মনের মতো সাজাবো। যে মানুষ আপনাদের জন্য সব সময় কাজ করে আপনাদের চৌদ্দগ্রামের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন তারা পাশে আপনাদের কল্যাণে আমিও আছি। চৌদ্দগ্রামের ব্যাপক উন্নয়ন ইতিহাস হয়ে থাকবে যা চৌদ্দগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ এখন অকপটে স্বীকার করে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে এদেশ হবে উন্নত বিশে^র মতো একটি উন্নত দেশ। তাই আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে মুজিবুল হককে নির্বাচিত করুন। শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করুন দেখবেন আপনাদের চৌদ্দগ্রাম আরো উন্নত হবে। 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে শনিবার (২২ ডিসেম্বর) চৌদ্দগ্রামের কনকাপৈত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রেলপথ মন্ত্রীর স্ত্রী এডভোকেট হনুফা আক্তার রিক্তা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে এদেশের উন্নতি হয় আর জামাত ক্ষমতায় এলে চৌদ্দগ্রামের মানুষের সম্পদ লুটপাট হয়।
জামাত এখন জনবিচ্ছিন্ন দল তাদের কোন প্রকার জনসমর্থন নেই তাই এখনো চৌদ্দগ্রাম কোনভাবেই ভোট চাইতে আসতে পারেনা। চৌদ্দগ্রামের প্রতিটি ইউনিয়ন এখন নৌকার গণজোয়ার উঠেছে তাই এরা আর কোন কৌশল খুঁজে পায়না এরা সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের ভয় দেখায়। চৌদ্দগ্রামের মানুষকে মেহমান নামের সন্ত্রাসীদের ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই। চৌদ্দগ্রামের মানুষ এখন এসবের ভয় পায়না চৌদ্দগ্রামবাসী এখন সচেতন ধর্ম ব্যবসায়ীদের ধোঁকাবাজি মানুষ বুঝে গেছে।
যারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন যারা জ্বালাও পোড়াও করে মানুষ হত্যা করেছে যারা মানুষের বিপদে এগিয়ে আসেনি, যারা গত ১০ বছর মানুষের সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক রাখেনি তাদের কি করাণে ভোট দিবে। যারা চৌদ্দগ্রাম থেকে নির্বাচিত হয়ে চৌদ্দগ্রামের মানুষের সাথে বেঈমানী করেছে তাদের চৌদ্দগ্রাম বাসী প্রত্যাখান করেছে।
আগামী ৩০ তারিখ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট চাওয়ার জন্য আমি আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমি এবং আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত হলে চৌদ্দগ্রামের প্রতিটি গ্রাম হবে শহর।
নির্বাচন এলে জামায়াত কিছু ক্যাডার বাহিনী ভাড়া করে এনে মেহমান বলে পরিচয় দিয়ে বাড়ি ঘরে আশ্রয় দিয়ে থাকে। তাই এসব মেহমান নামের ক্যাডার কারো বাড়ি ঘরে আশ্রয় নিলে কিংবা জায়গা দিলে প্রশাসনের মাধ্যমে এসব সন্ত্রাসীদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

কনকাপৈত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রেলপথ মন্ত্রীর সহধর্মিনী এডভোকেট হনুফা আক্তার রিক্তা, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহান ভূঁঞা হাসান, কুমিল্লা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক আলহাজ¦ ওমর ফারুক, পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ বি এম এ বাহার, এডভোকেট আব্দুল মান্নান, জেলা পরিষদ সদস্য ফারুক আহাম্মেদ মিয়াজী, আলকারা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক হেলাল, উপজেলা যুবলীগের আহব্বায়ক ও শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদার, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম, কালিকাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব হোসন মুজমদার, গুনবতী ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আহাম্মদ খোকন, কনকাপৈত ইউপি চেয়ারম্যান জাপর ইকবাল, কাশিনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক কামরুল হাসান মুরাদ, কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন রুবেল প্রমূখ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ