বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর সংসদীয় আসনের মুরাদনগর ও বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কর্তৃক দলীয় নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও গ্রেফতারের অভিযোগ করেছেন ওই আসনের বিএনপি দলীয় প্রার্থী কেএম মুজিবুল হক। ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর গত দুইদিনে ওই দুই থানায় বিস্ফোরক আইনে ৪টি মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৬১ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে এবং দলের ৩ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রদল সভাপতিসহ কমপক্ষে ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে নির্বাচনী এলাকার ধানের শীষের কমপক্ষে ১৫টি কার্যালয়।
বিকেলে কুমিল্লা শহরতলীর একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
মুজিবুল হক অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীদের হামলা, মামলা ও নির্যাতনে বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনো প্রচারণা চালাতে পারছে না। এরই মধ্যে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভেঙে ফেলা হচ্ছে তার নির্বাচনী অফিস। নৌকার সমর্থকরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তার পক্ষে কাজ করা নেতাকর্মীদের বাড়ি গিয়ে মারধর ও হুমকি দিচ্ছে। কেউ যাতে ৩০ ডিসেম্বর ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট হতে না পারে সেজন্য হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি সৃষ্টি করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, গত ৩ দিনে দুই থানায় ভৌতিক অভিযোগে বিস্ফোরক আইনে ৪টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ৩ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৬১ জন দলীয় নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়। এসব মামলায় মুরাদনগর থানা পুলিশ বাদী হয়ে পাহাড়পুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তোফায়েল শিকদারকে বাড়ি থেকে ধরে এনে ১০টি ককটেল দিয়ে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
অপর একটি মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম, যুবদল নেতা ছিটনসহ ৫৮ জন দলীয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেছে। এছাড়া উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার আরেকটি বিস্ফোরক মামলায় কুমিল্লা (উত্তর) জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুল হক জজ, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মহিউদ্দিন, মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন অঞ্জন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম সরকার, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়নাল মোল্লাসহ ৮২ জন দলীয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
তিনি বলেন, আরও একটি বিস্ফোরক আইনের মামলায় গত বৃহস্পতিবার রাতে যুবদল নেতা সোহেল ছামাদ, আবদুস সাত্তার, নজরুল মাস্টার, দেলোয়ার হোসেনসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ।
এছাড়া বিএনপি নেতা মনির হোসেন, যুবদল নেতা জসিম সরকার ও আলী আজগরসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা দায়ের করে হয়রানি করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা ৩০/৪০টি মোটরসাইকেল নিয়ে এলাকায় মহড়া দিয়ে ধানের শীষের কর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ যারা এজেন্ট হবে তাদেরকেও হুমকী দেয়ায় অনেকেই রাতে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, গত কয়েক দিনে নৌকার সমর্থকরা উপজেলার হাটাস, গাঙ্গের কোট, কোদাল কাটা, পূর্ব জাঙ্গাল, জানঘর, কাগাতোয়াসহ বিভিন্ন এলাকার ধানের শীষের অন্তত ১৫টি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করা হলেও পুলিশ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোল্লা মুজিবুল হক, যুগ্ম সম্পাদক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. তৌহিদুর রহমান, অ্যাড. আবদুল্লাহ আল মামুন, যুবদল নেতা আবুল হাসানসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।