বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের প্রার্থী চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর নির্বাচনী পথ সভায় হামলা হয়েছে। এতে ৩০ জন আহত হয়েছে এর মধ্যে ২০ জনই গুলিবিদ্ধ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলা চাম্বল বাজারে এই সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হকের নেতৃত্বে এই হামলা হয়। এ সময় পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। নৌকার পক্ষের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এই হামলা করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে জাতীয় পার্টর প্রার্থী ও পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ওই এলাকায় বাদ জুমা থেকে গণসংযোগ করেন। পরে তিনি চাম্বল বাজারে পথসভা করেন। গণসংযোগকালেও তার সর্মথকদের উপর গুলি করা হয়। পরে পথ সভায়ও হামলা হয়। এ সময় সেখানে থানার ওসিসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ ছিল। রাতে মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী দৈনিক ইনকিলাবকে হামলার বর্ণনা দিয়ে বলেন, প্রথমে তার গণসংযোগে অদূরে লাঙ্গলের সমর্থকদের উপর গুলি করে সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা। এরপর তিনি পথসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় চারিদিক থেকে ঘেরাও করে বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষন করে হামলাকারীরা।
তাদের গুলিতে ২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আরও অনেকে আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। তিনি এই ঘটনার জন্য নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ও তার দলের লোকজনকে দায়ী করেন। মাহমুদুল ইসলাম থানার ওসি কামাল হোসেনের অসহযোগিতার অভিযোগ করে বলেন, ওসি নৌকার প্রার্থীর হয়ে কাজ করছেন। হামলায় তার নিজের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে থানার ওসি কামাল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি পুলিশ নিয়ে হামলাকারীদের ঠেকিয়েছেন এবং মাহমুদুল ইসলামসহ তার লোকজনকে নিরাপদে উদ্ধার করেছেন। সেখানে পুলিশ বিজিবি ছাড়াও সহকারি কমিশনার ভ‚মি এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। হামলাকারীরা গুলি করেছে এমন তথ্য স্বীকার করলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানান তিনি। হামলাকারীদের ঠেকাতে গুলি কিংবা টিয়ার সেল ছুঁড়তে হয়নি জানিয়ে ওসি বলেন, আমরা ওই সময় মূলত সড়ক সচল রাখাকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। তা না হলে সেখানে যানজট হয়ে যেত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে হামলাকারীরা প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ শেষে অস্ত্র হাতে এলাকা ত্যাগ করে। এর আগে গত বুধবার সেখানে ধানের শীষের প্রার্থী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর গনসংযোগে গুলি করে নৌকার সমর্থকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।